৫৭ খালের আবর্জনা উত্তোলন করছে চসিক: নাছির
নাগরিকদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসনে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫৭টি খালকে ছয়টি জোনে বিভক্ত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রম আগামী বর্ষা শুরুর আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার সকালে মহানগরীর সাগরিকা পয়েন্ট থেকে মহেষ খালের মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা জানান।
পরে তিনি মহেষ খালের পার দিয়ে পায়ে হেঁটে বাস্তব অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনটি পয়েন্টে স্কেভেটরের মাধ্যমে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখেন।
আসছে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চসিকের নিজস্ব অর্থায়ন ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মহানগরীর ৫৭টি খালের মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন কার্যক্রম চলছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির আরো বলেন, চসিক নিজস্ব অর্থায়নে এ বছর মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সম্ভাব্য ১০ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য করেছে।
স্থানীয় জনগণের উদ্দেশে মেয়র বলেন, খালগুলোর উভয় তীরের বাসিন্দারা খাল ভরাট, দখল এবং স্থাপনা নির্মাণ করছে। তাদের কারণে লাখ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সে কারণে চসিক অবৈধ দখল উচ্ছেদ, খাল উদ্ধার, খালের নাব্য বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি জনসাধারণকে খাল, নালা-নর্দমা বা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। মেয়র সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমসহ সবস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এসময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী, শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে সাগরিকায় স্থাপিত নতুন অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট এবং নির্মাণাধীন স্কেল পরিদর্শন করেন মেয়র। অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুণগত মান সঠিক রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ও ঘণ্টায় ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। মেয়র এই প্ল্যান্টের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। পরে তিনি প্ল্যান্টের দুই পাশের প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন স্কেলও পরিদর্শন করেন।
জেবি/কে
মন্তব্য করুন