ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারী নিহত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক নারী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীকে রেললাইনে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী রেললাইনে শুয়ে পড়েন। পরে লোকজন তাকে বাধা দিলে তিনি রেললাইনের পাশ ধরে হাঁটতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে রেলের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আমজাদ হোসেন বলেন, মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক নারী নিহত হয়েছেন।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন
প্রেমিকার আনা নুডুলস খেয়ে প্রেমিকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে প্রেমিকার আনা নুডুলস খাওয়ার পর সজল দেবনাথ (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়। তিনি ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ঝালকাঠি সদরের জেলেপাড়া এলাকার বাসিন্দা সনাতন দেবনাথের ছোট ছেলে।
সজলের পরিবার জানায়, রোববার রাতে জগদ্ধাত্রী পূজার উৎসবে অংশ নিয়ে সজল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আওয়াজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তার কক্ষে গিয়ে দেখেন, সজলের পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার কথিত প্রেমিকা তিথি খাটের নিচে লুকিয়ে আছেন। দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সজলের বড় বোন অভিযোগ করেন, তিথি তার বাসা থেকে সজলের জন্য নুডুলস নিয়ে আসেন, যা খাওয়ার পরই সজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের ধারণা, নুডুলসে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে, যা সজলের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
প্রেমিকা তিথি জানান, তাদের দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন তারা কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে সজলের আচরণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে তর্ক হয় এবং তিথি অভিযোগ করেন, সজল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন রাতে সজলের সঙ্গে কাটালেও তিনি ঘটনাটি আড়াল করেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এ টি এম মেহেদী হাসান সামি জানান, গভীর রাতে হাসপাতালে আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হলেও সজলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
এদিকে, ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
আরটিভি/এফআই-টি
মাকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে ডিপ ফ্রিজে রাখা সেই ছেলে আটক
ডাকাত নয়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রেখেছে।
হত্যাকাণ্ডের দায় ডাকাতের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে সে। তাই কুড়াল দিয়ে ঘরের আলমারিতে আঘাত করে। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা সোমবার (১১ নভেম্বর) মধ্য রাতে তাকে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার পাঁচপীর আড়োবাড়ি এলাকায় দাদা রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
র্যাব কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে এ র্যাব কর্মকর্তা জানান, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার দারুস সুন্নাহ কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা মসজিদের খতিব আজিজুর রহমান পরিবার নিয়ে জয়পুরপাড়া এলাকায় আজিজিয়া মঞ্জিলের তৃতীয়তলায় বসবাস করেন। বড় ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় থাকেন। তার সঙ্গে স্ত্রী উম্মে সালমা খাতুন (৫০) ও ছোট ছেলে একই মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদ বিন আজিজুর থাকেন। মাদরাসাছাত্র সাদ বিন আজিজুর প্রেম করেন। এ ছাড়া সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। হাত খরচের টাকার জন্য মায়ের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হয়। এ ছাড়া মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে টাকা হারিয়ে যেত।
মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, সাদ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে মা সালমার কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়। সে তার মাকে হত্যা করে ডাকাতদের কাজ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। নাশতা না করেই বাড়ির বাইরে চলে যায়। মাদরাসায় না গিয়ে আশপাশে অবস্থান করার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় মা বটি দিয়ে কুমড়া কাটছিলেন। পরিকল্পনা অনুসারে পেছন থেকে মায়ের নাক ও মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বটি দিয়ে সাদের তর্জনী আঙুল কেটে যায়। এরপরও সে দুই হাত দিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরলে শ্বাসরোধে মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার ঘটনা ডাকাতি হিসেবে প্রচার করতে ওড়না দিয়ে মায়ের দুই হাত-পা বেঁধে লাশ ডিপফ্রিজে রাখে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতির প্রমাণ হিসেবে কুড়াল দিয়ে আলমিরাতে কয়েকটি কোপ দেয়। এরপর প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাবা আজিজুর রহমানকে ফোনে ডেকে আনে। পরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ উম্মে সালমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, দিনের বেলা সুরক্ষিত বাড়িতে এই নারীকে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘাতক ছেলে সাদকে শনাক্ত করা হয়। সোমবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার পাঁচপীর আড়োবাড়ি এলাকায় দাদা রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাদ তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার ও বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। পরে তাকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে বড় ভাই নাজমুস সাকিব থানায় সাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। সাদকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
আরটিভি/এমএ/এসএ
ইসলাম গ্রহণ করে নিপা রানী এখন আয়েশা সিদ্দিকা
ছোট থেকেই ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহী ছিলেন ঢাকার আশুলিয়া থানার নিপা রানী মালো (১৯)। আশপাশের মুসলিমদের দেখে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মে তার। বর্তমানে এই তরুণী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এখন তার নাম আয়েশা সিদ্দিকা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করেন তিনি।
আশুলিয়ার চাকলগ্রামের হনু বাবু বর্মনের মেয়ে নিপা (আয়েশা)। ইসলাম গ্রহণের পর বাবা-মাকে উদ্বিগ্ন না হতে ও মামলা-মোকদ্দমা না করার আহ্বান জানিয়েছেন আয়েশা।
আয়েশা বলেন, ইসলাম ধর্মের বইয়ে পড়েছি একমাত্র ইসলাম ধর্মই আল্লাহ কবুল করবেন। একথা চিন্তা করে আমি শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। যেহেতু আমি সাবালিকা, তাই কোন ধর্ম সঠিক তা বোঝার যোগ্যতা আমার আছে। আমি জেনেবুঝে সজ্ঞানে কালেমা শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।
আরটিভি/এমএ/এসএ
জান্নাতকে ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন প্রেমিক
কুমিল্লার তিতাসে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক তরুণীকে ছয় টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় সাবেক প্রেমিক তারেক মাহমুদ মুন্না। এ ঘটনায় মুন্নাকে আটক করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাউছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুন্না জানান, জান্নাত তার চাচাত বোন। তাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে তিনি বিদেশ চলে যান এবং ২০২২ সালে দেশে ফিরলে জান্নাত বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। এক মাস পর তিনি আবার বিদেশ চলে যান। তিনি বিদেশ থাকা অবস্থায় জানতে পারেন, জান্নাতের অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন করার পর জান্নাত মুন্নার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
মুন্না বলেন, এক বছর পর ২০২৩ সালে আবার দেশে আসি। আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে পরিবার। জান্নাত তখন আমার সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করলে বিয়ে না করে আবার বিদেশ চলে যাই। ২০২৪ সালে আবার দেশে আসি এবং অন্যত্র বিয়ে করি। তখন জান্নাত খবর পেয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমাকে সুখে থাকতে দেবে না। মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে আমাকে দেখে নেবে এবং আমার স্ত্রীকে সব জানাবে। তার এমন কথায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। তখন আমার মাথায় আসে আমি জান্নাতকে বিষয়টি বোঝাবো, না হলে মেরে ফেলব।
৫ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন দিয়ে জান্নাতকে বলি আমার সঙ্গে দেখা করতে, সে আমাকে বলে গৌরীপুর বাজারে দেখা করবে। বেলা ১১টায় গৌরীপুর বাজারে দেখা করি এবং আমাকে রেখে দেড় ঘণ্টা অন্যত্র চলে যায়। দেড় ঘণ্টা পর আমাকে ফোন দিলে আমরা একসঙ্গে সিএনজি দিয়ে হোমনা চলে যাই, হোমনা ব্রিজে ঘোরাফেরা করি। সন্ধ্যায় সিএনজি দিয়ে আমরা কাঁঠালিয়া গ্রামে যাই। সেখানে একটি ব্রিজে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। রাত হয়ে গেলে আমি জান্নাতকে বোঝাতে থাকি, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে সুখী হও, আমাকেও সুখে থাকতে দাও। এতে জান্নাত রাজি হয়নি। তখন আমি তার হাতে-পায়ে ধরে বোঝাই, সে আমাকে লাথি মারে।
মুন্না আরও বলেন, একপর্যায়ে আমার ব্যাগে থাকা ডাব কাটার দায়ের উল্টো দিক দিয়ে তার মাথায় বাড়ি দেই। পরে কয়েকটা কোপ দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেলি। তারপর দুই হাত, দুই পা কেটে আলাদা করে সব কাটা টুকরোগুলো নদীতে ফেলে দিই। পরে মাটিতে লেগে থাকা রক্ত আমার সঙ্গে থাকা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি এবং পরনের গেঞ্জি ও সঙ্গে থাকা দা, ব্যাগ নদীতে ফেলে দিই।
এ বিষয়ে জান্নাতের মা ও মামলার বাদী হালিমা বেগমসহ সাগর ফেনা গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ মুন্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর সকালে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) অপহরণ করেন মুন্না। এ ঘটনায় জান্নাতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্নাসহ সাতজনকে আসামি করে ৯ সেপ্টেম্বর তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
আরটিভি/একে/এসএ
চাকরি ছাড়লেন আবু সাঈদের দুই ভাই
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে তারা চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবু হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছি না। তাই কাজ ছাড়া বেতন নিয়ে আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মহিমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, ৮ নভেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের ই-মেইলে অব্যাহতিপত্র পাঠানোর পর ১০ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তা পাঠিয়েছি। এ ছাড়া মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি করেও পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
একই কথা বলেন রমজান আলীও। তার ভাষ্য, ৮ নভেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা গণমাধ্যমকে বলেন, আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
অন্যদিকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ পাওয়ার পর দুদিন অফিস করেছেন আবু হোসেন। তবে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করেননি।
এর আগে, গত ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
এদিন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে তিনি নিয়োগপত্র তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ।
আরটিভি/আইএম
স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, অতঃপর...
নরসিংদীতে স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে না ফেরায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ সাইদুর রহমান বাবু (৩৫) নামের এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নরসিংদী রেল স্টেশনের পুরাতনপাড়া বীজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাত বছর আগে রাজশাহী জেলার ইসলাম মিয়ার ছেলে মো. সাইদুর রহমান বাবুর সঙ্গে নরসিংদী সোনাতলা এলাকার তোহরা বেগমের বিয়ে হয়। তিনি ঢাকার কাফরুল এলাকায় বসবাস করতেন। তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিক বিরোধের জেরে তোহরা বেগম তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বুধবার স্ত্রী তোহরাকে নিতে নরসিংদী আসেন স্বামী সাইদুর। কিন্তু স্ত্রী তার সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি স্ত্রী। এরপর স্ত্রী ও তার ভাইদের জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটগামী তূর্ণা নিশিতা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবু। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নরসিংদী রেল স্টেশনের পুরাতনপাড়া ব্রিজ এলাকায় বাবুর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ নিহতের উদ্ধার লাশ মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাই লুতফুর রহমান বলেন, মান-অভিমান করে আমার ভাবি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। আমার ভাই-ভাবিকে নিতে নরসিংদী আসে। কিন্তু ভাবি আমার ভাইকে ঘরজামাই থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি হয়নি। পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে মারা যায়। আমি বুধবার ভাবির হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি, আমার ভাইকে বাঁচাতে। কিন্তু তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। ভাবি শুধু মাত্র ভাইকে মোবাইলে ফোন করলেই প্রাণে বেঁচে যেত। কিন্তু তিনি তা না করে ভাইকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছেন।
রেলওয়ে ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ্ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরটিভি/এসএপি
যে কারণে শিল্পপতিকে ৭ টুকরো করেন পরকিয়া প্রেমিকা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরো লাশের সন্ধান মিলেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের জেরে জসিমউদ্দিন মাসুম নামের এক ব্যবসায়ীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জবাই করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২) সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে গুলশান থানার একটি জিডির সূত্র ধরে লাশের পরিচয় জানতে পারি। হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগী হলেন ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি বিবাহিত এবং সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রুমা আক্তারকে (২৮) রাজধানীর কাফরুল শেওড়াপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো স্থান থেকে একটি চাপাতি, হেসকো ব্লেড ও ভুক্তভোগীর পরিহিত সাফারি, এক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রুমার সঙ্গে শিল্পপতি মাসুমের সম্পর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি মাসুম অন্য আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বিষয়টি জানতে পেরে, রাগে-ক্ষোভে ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তাকে খুন করে। গত ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মূলত সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা একত্রিত হতেন। প্রথমে তাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে জবাই করে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। সেই টুকরো অংশ প্রথমে পাঠাও ও পরে সিএনজি ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে ফেলেছে। গ্রেপ্তার রুমা ময়মনসিংহ গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।
নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরা ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।
এর আগে, বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের উত্তর পাশে ৫ নম্বর সেক্টরের ব্রাক্ষণখালী এলাকায় লেকের পাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশের সাত টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগে করে অজ্ঞাত যুবকের মাথা, দুই হাত, শরীরের পেছনের অংশ, নাড়িভুঁড়ি, বাঁ পা, বাঁ উরুর কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়।
আরটিভি/একে