মরিচখেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
বগুড়ার গাবতলীতে খেতে কাজ কারার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের শিলদহবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কৃষকের নাম সুলতান সরকার (৬০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সামেদ আলী সরকারের ছেলে।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল জানান, মরিচখেতে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
মন্তব্য করুন
জান্নাতকে ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন প্রেমিক
কুমিল্লার তিতাসে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক তরুণীকে ছয় টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় সাবেক প্রেমিক তারেক মাহমুদ মুন্না। এ ঘটনায় মুন্নাকে আটক করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাউছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুন্না জানান, জান্নাত তার চাচাত বোন। তাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে তিনি বিদেশ চলে যান এবং ২০২২ সালে দেশে ফিরলে জান্নাত বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। এক মাস পর তিনি আবার বিদেশ চলে যান। তিনি বিদেশ থাকা অবস্থায় জানতে পারেন, জান্নাতের অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন করার পর জান্নাত মুন্নার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
মুন্না বলেন, এক বছর পর ২০২৩ সালে আবার দেশে আসি। আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে পরিবার। জান্নাত তখন আমার সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করলে বিয়ে না করে আবার বিদেশ চলে যাই। ২০২৪ সালে আবার দেশে আসি এবং অন্যত্র বিয়ে করি। তখন জান্নাত খবর পেয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমাকে সুখে থাকতে দেবে না। মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে আমাকে দেখে নেবে এবং আমার স্ত্রীকে সব জানাবে। তার এমন কথায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। তখন আমার মাথায় আসে আমি জান্নাতকে বিষয়টি বোঝাবো, না হলে মেরে ফেলব।
৫ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন দিয়ে জান্নাতকে বলি আমার সঙ্গে দেখা করতে, সে আমাকে বলে গৌরীপুর বাজারে দেখা করবে। বেলা ১১টায় গৌরীপুর বাজারে দেখা করি এবং আমাকে রেখে দেড় ঘণ্টা অন্যত্র চলে যায়। দেড় ঘণ্টা পর আমাকে ফোন দিলে আমরা একসঙ্গে সিএনজি দিয়ে হোমনা চলে যাই, হোমনা ব্রিজে ঘোরাফেরা করি। সন্ধ্যায় সিএনজি দিয়ে আমরা কাঁঠালিয়া গ্রামে যাই। সেখানে একটি ব্রিজে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। রাত হয়ে গেলে আমি জান্নাতকে বোঝাতে থাকি, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে সুখী হও, আমাকেও সুখে থাকতে দাও। এতে জান্নাত রাজি হয়নি। তখন আমি তার হাতে-পায়ে ধরে বোঝাই, সে আমাকে লাথি মারে।
মুন্না আরও বলেন, একপর্যায়ে আমার ব্যাগে থাকা ডাব কাটার দায়ের উল্টো দিক দিয়ে তার মাথায় বাড়ি দেই। পরে কয়েকটা কোপ দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেলি। তারপর দুই হাত, দুই পা কেটে আলাদা করে সব কাটা টুকরোগুলো নদীতে ফেলে দিই। পরে মাটিতে লেগে থাকা রক্ত আমার সঙ্গে থাকা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি এবং পরনের গেঞ্জি ও সঙ্গে থাকা দা, ব্যাগ নদীতে ফেলে দিই।
এ বিষয়ে জান্নাতের মা ও মামলার বাদী হালিমা বেগমসহ সাগর ফেনা গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ মুন্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর সকালে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) অপহরণ করেন মুন্না। এ ঘটনায় জান্নাতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্নাসহ সাতজনকে আসামি করে ৯ সেপ্টেম্বর তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
আরটিভি/একে/এসএ
চাকরি ছাড়লেন আবু সাঈদের দুই ভাই
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে তারা চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবু হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছি না। তাই কাজ ছাড়া বেতন নিয়ে আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মহিমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, ৮ নভেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের ই-মেইলে অব্যাহতিপত্র পাঠানোর পর ১০ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তা পাঠিয়েছি। এ ছাড়া মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি করেও পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
একই কথা বলেন রমজান আলীও। তার ভাষ্য, ৮ নভেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা গণমাধ্যমকে বলেন, আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
অন্যদিকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ পাওয়ার পর দুদিন অফিস করেছেন আবু হোসেন। তবে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করেননি।
এর আগে, গত ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
এদিন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে তিনি নিয়োগপত্র তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ।
আরটিভি/আইএম
স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, অতঃপর...
নরসিংদীতে স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে না ফেরায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ সাইদুর রহমান বাবু (৩৫) নামের এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নরসিংদী রেল স্টেশনের পুরাতনপাড়া বীজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাত বছর আগে রাজশাহী জেলার ইসলাম মিয়ার ছেলে মো. সাইদুর রহমান বাবুর সঙ্গে নরসিংদী সোনাতলা এলাকার তোহরা বেগমের বিয়ে হয়। তিনি ঢাকার কাফরুল এলাকায় বসবাস করতেন। তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিক বিরোধের জেরে তোহরা বেগম তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বুধবার স্ত্রী তোহরাকে নিতে নরসিংদী আসেন স্বামী সাইদুর। কিন্তু স্ত্রী তার সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি স্ত্রী। এরপর স্ত্রী ও তার ভাইদের জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটগামী তূর্ণা নিশিতা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবু। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নরসিংদী রেল স্টেশনের পুরাতনপাড়া ব্রিজ এলাকায় বাবুর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ নিহতের উদ্ধার লাশ মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাই লুতফুর রহমান বলেন, মান-অভিমান করে আমার ভাবি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। আমার ভাই-ভাবিকে নিতে নরসিংদী আসে। কিন্তু ভাবি আমার ভাইকে ঘরজামাই থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি হয়নি। পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে মারা যায়। আমি বুধবার ভাবির হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি, আমার ভাইকে বাঁচাতে। কিন্তু তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। ভাবি শুধু মাত্র ভাইকে মোবাইলে ফোন করলেই প্রাণে বেঁচে যেত। কিন্তু তিনি তা না করে ভাইকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছেন।
রেলওয়ে ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ্ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরটিভি/এসএপি
যে কারণে শিল্পপতিকে ৭ টুকরো করেন পরকিয়া প্রেমিকা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরো লাশের সন্ধান মিলেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের জেরে জসিমউদ্দিন মাসুম নামের এক ব্যবসায়ীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জবাই করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২) সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে গুলশান থানার একটি জিডির সূত্র ধরে লাশের পরিচয় জানতে পারি। হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগী হলেন ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি বিবাহিত এবং সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রুমা আক্তারকে (২৮) রাজধানীর কাফরুল শেওড়াপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো স্থান থেকে একটি চাপাতি, হেসকো ব্লেড ও ভুক্তভোগীর পরিহিত সাফারি, এক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রুমার সঙ্গে শিল্পপতি মাসুমের সম্পর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি মাসুম অন্য আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বিষয়টি জানতে পেরে, রাগে-ক্ষোভে ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তাকে খুন করে। গত ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মূলত সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা একত্রিত হতেন। প্রথমে তাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে জবাই করে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। সেই টুকরো অংশ প্রথমে পাঠাও ও পরে সিএনজি ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে ফেলেছে। গ্রেপ্তার রুমা ময়মনসিংহ গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।
নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরা ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।
এর আগে, বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের উত্তর পাশে ৫ নম্বর সেক্টরের ব্রাক্ষণখালী এলাকায় লেকের পাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশের সাত টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগে করে অজ্ঞাত যুবকের মাথা, দুই হাত, শরীরের পেছনের অংশ, নাড়িভুঁড়ি, বাঁ পা, বাঁ উরুর কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়।
আরটিভি/একে
ছেলে নির্দোষ, নারীকে হত্যার পর ফ্রিজে রাখার ঘটনায় নতুন মোড়
নতুন মোড় নিয়েছে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নিহত গৃহবধূর ছেলে নয়, বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাসা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ও ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাবিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার মাস আগে উম্মে সালমার (৫০) বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেলে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। ভাড়ার পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হন মাবিয়া। এর জেরে দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র সরকারকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রেখে বেরিয়ে যান তারা।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
হত্যার পর ফ্রিজে মায়ের মরদেহ, জামিন পেলেন না ছেলে সাদ
বগুড়ায় মা উম্মে সালমা হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছেলে সাদ ইবনে আজিজারকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ তাকে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিমান্ড শেষে সাদকে আদালতে আনা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। সাদের পক্ষে কেউ জামিন শুনানি করেনি৷
এদিকে নতুন মোড় নিয়েছে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নিহত গৃহবধূর ছেলে নয়, বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
শুক্রবার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাসা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ও ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাবিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার মাস আগে উম্মে সালমার (৫০) বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেলে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। ভাড়ার পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হন মাবিয়া। এর জেরে দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র সরকারকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রেখে বেরিয়ে যান তারা।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে।
আরটিভি/এসএপি-টি
ফ্রিজে নারীর মরদেহ / ছেলেকে টর্চার করে মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মাকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ছেলে নয়, ওই বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সাদকে টর্চার করে মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সাদের বাবা ও নিহত উম্মে সালমার স্বামী আজিজুর রহমান। তিনি দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা জামে মসজিদের খতিব।
আজিজুর রহমান জানান, গত ১১ নভেম্বর জানাজার পর তাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন তিনি পাশের রুমে বসে ছিলেন। এ সময় সাদকে অনেক টর্চার করা হয়। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
তিনি জানান, স্ত্রীকে হারানোর পরদিনই মাকে হত্যার অভিযোগে ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একদিনের ব্যবধানে এমন ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না তার শান্তশিষ্ট ছেলেটা নিজের মাকে হত্যা করবে? তিনি বারবার চাচ্ছিলেন স্ত্রী (সালমা) হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হোক।
সাদের বাবা বলেন, র্যাব এবং পুলিশকে তাদের চাহিদা মতো তথ্য দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই সংস্থাকেই ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানার কথা বারবার বলেছি। কিন্তু র্যাব মাবিয়ার বিষয়টি আমলে নেয়নি।
তিনি জানান, মাবিয়া নামের ওই নারী চার মাস আগে তার বাড়ি ভাড়া নেয়। শুরু থেকেই মাবিয়ার আচরণ সন্দেহজনক ছিল। তার স্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিল, ওকে (মাবিয়া) রাখা যাবে না; বের করে দাও। তিনি তখন মবিয়াকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সে সময় চেয়েছিল। এরই মধ্যে একদিন তার স্ত্রীর সঙ্গে মাবিয়ার ঝগড়া হয়। সেসময় তার স্ত্রী মবিয়াকে বলেছিলেন, আপনি চলে যান। আপনার ভাড়া দেওয়া লাগবে না। পরবর্তীতে মাবিয়া তার স্ত্রীকে জোর করে বের করে দিতে পারবে না বলেও হুমকি দেয়।
আজিজুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও আমার স্ত্রী আমাকে বলেছিল, তুমি ওকে বের করে দাও। সে যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারে। আমি তাকে বের করে দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছিলাম। কিন্তু, তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল।
ছেলে সাদের বিষয়ে উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমান জানান, র্যাব যখন সংবাদ সম্মেলন করে জানাল, সাদ তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তখন তারা খুব অবাক হয়েছেন। এ ঘটনায় ছেলের ও তার ব্যাপক সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, তারা সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন। তার ছেলের মানসিক অবস্থা এখন কী একমাত্র সেই বলতে পারবে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে সাদের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি।
রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল একটা বাহিনী এমন কাজ করবে কখনো আশা করিনি, র্যাব প্রসঙ্গে এ কথা বলেন সাদের বাবা।
এদিকে র্যাব-১২ এর বগুড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে কেউই গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না। র্যাব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রিসিভ করা হয় না। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান বদলি হয়ে বগুড়া থেকে চলে গেছেন।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে।
তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ দাবি করেছে, ছেলে নয়, উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া।
আরটিভি/এসএপি