মরিচখেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
বগুড়ার গাবতলীতে খেতে কাজ কারার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের শিলদহবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কৃষকের নাম সুলতান সরকার (৬০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সামেদ আলী সরকারের ছেলে।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল জানান, মরিচখেতে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
মন্তব্য করুন
হত্যার পর ফ্রিজে মায়ের মরদেহ, জামিন পেলেন না ছেলে সাদ
বগুড়ায় মা উম্মে সালমা হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছেলে সাদ ইবনে আজিজারকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ তাকে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিমান্ড শেষে সাদকে আদালতে আনা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। সাদের পক্ষে কেউ জামিন শুনানি করেনি৷
এদিকে নতুন মোড় নিয়েছে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নিহত গৃহবধূর ছেলে নয়, বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
শুক্রবার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাসা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ও ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাবিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার মাস আগে উম্মে সালমার (৫০) বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেলে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। ভাড়ার পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হন মাবিয়া। এর জেরে দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র সরকারকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রেখে বেরিয়ে যান তারা।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে।
আরটিভি/এসএপি-টি
ফ্রিজে নারীর মরদেহ / ছেলেকে টর্চার করে মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মাকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ছেলে নয়, ওই বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সাদকে টর্চার করে মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সাদের বাবা ও নিহত উম্মে সালমার স্বামী আজিজুর রহমান। তিনি দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা জামে মসজিদের খতিব।
আজিজুর রহমান জানান, গত ১১ নভেম্বর জানাজার পর তাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন তিনি পাশের রুমে বসে ছিলেন। এ সময় সাদকে অনেক টর্চার করা হয়। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
তিনি জানান, স্ত্রীকে হারানোর পরদিনই মাকে হত্যার অভিযোগে ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একদিনের ব্যবধানে এমন ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না তার শান্তশিষ্ট ছেলেটা নিজের মাকে হত্যা করবে? তিনি বারবার চাচ্ছিলেন স্ত্রী (সালমা) হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হোক।
সাদের বাবা বলেন, র্যাব এবং পুলিশকে তাদের চাহিদা মতো তথ্য দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই সংস্থাকেই ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানার কথা বারবার বলেছি। কিন্তু র্যাব মাবিয়ার বিষয়টি আমলে নেয়নি।
তিনি জানান, মাবিয়া নামের ওই নারী চার মাস আগে তার বাড়ি ভাড়া নেয়। শুরু থেকেই মাবিয়ার আচরণ সন্দেহজনক ছিল। তার স্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিল, ওকে (মাবিয়া) রাখা যাবে না; বের করে দাও। তিনি তখন মবিয়াকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সে সময় চেয়েছিল। এরই মধ্যে একদিন তার স্ত্রীর সঙ্গে মাবিয়ার ঝগড়া হয়। সেসময় তার স্ত্রী মবিয়াকে বলেছিলেন, আপনি চলে যান। আপনার ভাড়া দেওয়া লাগবে না। পরবর্তীতে মাবিয়া তার স্ত্রীকে জোর করে বের করে দিতে পারবে না বলেও হুমকি দেয়।
আজিজুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও আমার স্ত্রী আমাকে বলেছিল, তুমি ওকে বের করে দাও। সে যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারে। আমি তাকে বের করে দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছিলাম। কিন্তু, তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল।
ছেলে সাদের বিষয়ে উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমান জানান, র্যাব যখন সংবাদ সম্মেলন করে জানাল, সাদ তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তখন তারা খুব অবাক হয়েছেন। এ ঘটনায় ছেলের ও তার ব্যাপক সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, তারা সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন। তার ছেলের মানসিক অবস্থা এখন কী একমাত্র সেই বলতে পারবে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে সাদের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি।
রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল একটা বাহিনী এমন কাজ করবে কখনো আশা করিনি, র্যাব প্রসঙ্গে এ কথা বলেন সাদের বাবা।
এদিকে র্যাব-১২ এর বগুড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে কেউই গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না। র্যাব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রিসিভ করা হয় না। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান বদলি হয়ে বগুড়া থেকে চলে গেছেন।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে।
তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ দাবি করেছে, ছেলে নয়, উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া।
আরটিভি/এসএপি
স্ত্রীর ওপর অভিমান করে পুরুষাঙ্গ কর্তন
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় অভিমানে আলমগীর (৩০) নামে এক যুবক নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিরাই পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার একটি ভাঙাড়ি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
আলমগীর জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। পরকীয়া প্রেমিক চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আলমগীরের শ্যালক বিল্লাল।
ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা জানান, আলমগীরের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, পার্কিং করা রিকশায় আলমগীর বসে কাতরাচ্ছে। নিচে তার কাটা পুরুষাঙ্গ পড়ে আছে।
হামলার কোনো ঘটনা দেখেননি জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আলমগীর নিজেই তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এরপর আলমগীরকে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে অবস্থা খারাপ হলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলমগীর দিরাই উপজেলার রাজাপুর কান্দি গ্রামের কনির উদ্দিনের ছেলে।
দোকানের কর্মচারী আলমগীরের খালাতো ভাই শিপন মিয়া বলেন, আমি দোকানের পেছনে কাজ করছিলাম। চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে ঘটনা দেখি। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে কাউকে হামলা করতে দেখিনি।
এ দিকে এ ঘটনায় আলমগীর একেকবার একেকরকম বক্তব্য দিচ্ছেন। হাসপাতালে ডাক্তারের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী পুরুষাঙ্গ কেটেছে বলে জানালেও পরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নে অপরিচিত লোক চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
আলমগীরের শ্যালক বিল্লাল বলেন, আমার বোনকে স্বামী-শাশুড়ি মারধর করতেন। বাড়িতে একা রেখে তারা এখানে-ওখানে চলে যেত। অনেক সময় রাতে বাড়ি ফিরত না। এসব কারণে রোববার দুপুরে আমার বোনকে তার দুই সন্তানসহ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে-টি
ফেসবুক লাইভে বাঁচার আকুতি, কিছুক্ষণ পর গাছের ডালে যুবকের মরদেহ
নওগাঁয় ফেসবুক লাইভে বাঁচার আকুতি জানানোর প্রায় এক ঘণ্টা পর গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমন হোসেন (২৪) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জেলার পত্নীতলা উপজেলার পদ্মপুকুর বালকাপাড়া গ্রাম থেকে রাত ১১টার দিকে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, সুমন হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন ফটোস্ট্যাটের মালিক। মরদেহ উদ্ধারের প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন সুমন। সেসময় ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা ১০ লাখ টাকা ছিনতাই করে তাকে হত্যা করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সুমনের ফেসবুক লাইভের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সুমনের ৫ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভ থেকে জানা যায়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ধার করেন সুমন। সঙ্গে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। কিন্তু পরে বুলবুল তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বুলবুলকে টাকা দেওয়ার জন্য সুমন মহাদেবপুর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে রোববার রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামে ফিরছিলেন। ফেরার পথে নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুষ্কৃতকারীরা সুমনকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সুমন পালিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ছিনতাইকারীরা তার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার জন্য খুঁজছে বলেও দাবি করেন সুমন।
ওই দিন রাতে সুমনের লাইভ দেখে তাকে উদ্ধার করতে তার গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া ও আশপাশের গ্রামের লোকজন নাদৌড় মোড়ে ছুটে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বালকাপাড়া গ্রামের একটি গাছের ডালের সঙ্গে সুমনের মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান তারা। এরপর তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বুলবুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ওসি শাহ্ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে সুমনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে গলাছাড়া শরীরের অন্য জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে সুমনের ভাইরাল হওয়া ফেসবুক লাইভ ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করা হয়নি। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ী বুলবুলকে পুলিশ খুঁজছে।’
আরটিভি/এসএপি
আলুর কেজি ৪২০ টাকা!
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) শিবগঞ্জের বিভিন্ন হাটে-বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। অথচ, রোববার নতুন আলু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল।
জানা গেছে, সোমবার উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সবজির বাজার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটে ৩৮০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু পাইকারি বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা বাজার, শিবগঞ্জ হাট, মোকামতলা, গুজিয়া, আমতলী ও কিচকের খুচরা বাজারে তা ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় আলুর দাম এত বেশি। তবে কিছুদিনের মধ্যে মৌসুম শুরু হলে দাম কমে যাবে। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, এই প্রথম আলুর দাম ৪২০ টাকা কেজি হওয়া দেখালাম। পুরাতন আলুর দামও বেশি।
অনন্তবালা গ্রামের নুর ইসলাম মহাস্থান সবজি বাজারে আলু বিক্রি করতে এসছেন। তিনি বলেন, কিছু কৃষক অল্প পরিমাণে আগাম আলু রোপণ করেছিলেন, তারাই বাজারে নতুন আলু এনছেন। বগুড়ায় এখনও পুরোদমে নতুন আলু তোলা শুরু হয়নি। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে কিছু নতুন আলু আসছে।
শিবগঞ্জ থানা বাজারে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আলুর কেজি ৪২০ টাকা দেখতে হবে কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। পুরাতন আলুর কেজিও ৭০ টাকা। এভাবে সবজির দাম বাড়লে মানুষ দুমুঠো ভাত খাবে কী দিয়ে। আলু ভর্তা ও ডাল দিয়েও মানুষ আর ভাত খেতে পারবে না।
কৃষি অধিদপ্তর বগুড়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারিতে আলুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন নতুন আলু বাজারে আসবে। এখন সামান্য কিছু কৃষক অধিক লাখের আশার আগাম আলু চাষ করেছে। যা বেশি দামে বিক্রিও হচ্ছে। তবে এগুলো পরিপক্ব নয়। এ বছর বগুড়া জেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি থেকে ৪০ হাজার ৫০০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
ঘুরতে আসা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার যুবদল নেতা
বরিশাল নগরীতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান আলী শোভন (৩৩) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইমরান ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে ওয়ার্ড যুবদলের পদপ্রত্যাশী।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) নগরীর রূপাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তিনি রুপাতলী নতুন আবাসিক এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বন্ধুর সঙ্গে নগরীর নতুন হাউজিং এলাকায় ঘুরতে আসেন কাউনিয়া এলাকার এক তরুণী। তাদের দুজনকে রুপাতলী থেকে জিম্মি করেন যুবদল নেতা ইরমান ও তার সহযোগীরা। সেখান থেকে নিয়ে ইরমানের একটি বিশেষ কক্ষে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ সময়ে তরুণীর বন্ধুকে আরেকটি রুমে আটকে তার মোটরসাইকেল ও মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। এ ছাড়া তাকে বেধড়ক পেটান ইরমানের চারজন সহযোগী।
পুলিশ আরও জানায়, বুধবার সকালে মুক্তিপণের টাকা ম্যানেজ করার কথা বলে বের হয়ে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে রুপাতলী এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি, শ্রমিক মারধর করার মতো অভিযোগ আছে। এ ছাড়া রূপাতলী এলাকার মাদক সিন্ডিকেটও তার দখলে বলেও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
আরটিভি/এফআই-টি
একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য
রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস। প্রথম স্বামীর সঙ্গে সংসার করার সময়ই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুই স্বামীর মন জয় করেই চলছিলেন তিনি। স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুজনের কাউকেই। অবশেষে প্রায় দুবছর পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চার বছর প্রেম করে ২০২২ সালে রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখকে গোপনে বিয়ে করেন জান্নাতুল। পরিবারের সবাই বিদেশে থাকায় বাড়িতে একাই বসবাস করতেন তিনি। জান্নাতুলের বাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করতেন সাগর। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল। স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেওয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে প্রথম স্বামী সাগরের সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল। স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেওয়ায় সাগর তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন তারা। তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামী ও ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। এ বিষয়ে সাগর জানতে চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।
এ বিষয়ে সাগর শেখ জানান, তার ও জান্নাতুলের বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা বিদেশ থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে সাগরের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। তাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় সাগর ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যান। কাজ থেকে এসে সাগর জানতে পারেন তার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন। সাগর তার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’
তিনি জানান, এখন বাধ্য হয়ে তিনি তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেছেন।
এদিকে জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।
জান্নতুলের মা হাছিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট, বুঝে নাই। যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’
এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক জানান, সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।
আরটিভি/এসএপি/এআর