শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করলেন শহীদ আবু সাঈদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে নিবন্ধন পরীক্ষার প্রকাশিত লিখিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, শহীদ আবু সাঈদ ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।
আরটিভি/এফএ-টি
মন্তব্য করুন
পূজামণ্ডপে গীতার শ্লোক পাঠ করে ভাইরাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে একটি পূজামণ্ডপে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপে মহাসপ্তমীর অনুষ্ঠানে ঘটে এ ঘটনা। জামায়াত নেতার সেই গীতা পাঠের ৫ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে। অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, বক্তব্যের একপর্যায়ে উপস্থিত সবাইকে গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করে শোনান অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা উলুধ্বনি দেন ও শঙ্খ বাজান। শ্লোক পাঠ শেষে জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা আশ্বাস দেন, আগামীতে নির্বাচিত হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন তিনি। সেইসঙ্গে বলেন, আমি একা না আমার সাথে বিএনপির নেতারাও আছেন।
বক্তব্যের শুরুতে অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বলেন, এই কোটচাঁদপুরের আলো-বাতাস, মাটি ও মায়া-মমতাই বেড়ে উঠেছি আমি। ইসলামি আদর্শের একজন ব্যক্তি হলেও আমার ভেতর একজন ভালো সনাতনী হিন্দু ব্রাহ্মণ বাস করেন। আমার ভেতরে বাস করেন একজন ভালো খ্রিষ্টান এবং একজন ভালো মুসলিমও।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে এরপর তিনি বলেন, বিশ্বাস করুন, হিন্দু ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে মুসলমানদের কোরআন পাওয়ারও সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে। এই জাতিটা বাস করতো ভারতের কালীকোটের মালমল সিন্দুর হ্রদের অববাহিকায়। আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত ওরা সেখানে বাস করেছে।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর রাত ১০টার দিকে বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা। অন্যান্যদের বক্তব্যের পর সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। বক্তব্যে ইসলাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি গুরুদাস বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর জামায়াতের নেতা মতিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন মণ্ডপে এসেছিলেন। বক্তব্যে তিনি আমাদের ধর্ম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান দেন। পরে গীতা থেকে একটি শ্লোকও পাঠ করেন।
আরটিভি/এসএইচএম
ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর চলে গেল শিশু ছেলেও
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভিমরুলের কামড়ে বাবা আবুল কাশেম ও মেয়ে লাবিবা আক্তারের মৃত্যুর পর ছেলে সিফাত উল্লাহও (৬) মারা গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন দুপুর ১টায় আবুল কাশেম ও বিকেল ৩টায় তার মেয়ে লাবিবা (৮) মারা যায়। মর্মান্তিক ঘটনাটি একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই বাজার মসজিদের ইমাম মো. আবুল কাশেম (৫০), তার আট বছর বয়সী মেয়ে লাবিবা আক্তার ও ছেলে সিফাতুল্লাহ (৬)। আবুল কাশেম উপজেলার দুধনই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুধনই বাজার জামে মসজিদে ইমামতি করতেন, এরমধ্যে লাবিবা ইদারাতুল কুরআন মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় দুধনই বাজার থেকে লাকড়ি আনার জন্য মেয়ে লাবিবা এবং ছেলে সিফাতুল্লাহকে নিয়ে নৌকা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন আবুল কাশেম। তবে বাড়ির পাশেই একটি বাঁশঝাড়ে তাদের নৌকা আটকে যায়। ওই সময় হঠাৎ বাঁশঝাড় থেকে ভিমরুল বেরিয়ে এসে আবুল কাশেম ও তার দুই সন্তানকে কামড়াতে শুরু করে। সে সময় আবুল কাশেম প্রথমে সন্তানদের রক্ষা করার চেষ্টা করলেও পরে আর সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাবা আবুল কাশেম এবং ছেলে সিফাতুল্লাহকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একপর্যায়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে আবুল কাশেম মারা যায়। এরপর বিকেল ৩টায় ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় মেয়ে লাবিবা। সবশেষ রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাতুল্লাহরও মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, এলাকায় একদিকে চলছে বন্যার মতো ভয়াবহ দুর্যোগ। অন্যদিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু। নিহতের পরিবার এবং স্বজনের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার সিফাত উল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরটিভি/এফআই
সারজিস ও হাসনাতকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রংপুর সেন্ট্রাল রোড জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জেলা ও মহানগরের যৌথ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সংলাপে না ডাকতে ফেসবুকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ যে ঘোষণা দিয়েছে- তারা রংপুরে আসতে পারবে না। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই রংপুরের পার্টি অফিসে বসে থাকবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। যদি এই আন্দোলনকে আমরা জনস্রোত করতে না পারি তাহলে জাতীয় পার্টি থেকে নাকে খত দিয়ে চলে যাবো।’
ফেসবুকে সারজিস ও হাসনাতের লেখার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রংপুরের মাটিতে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনও প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার- আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা নয়। রংপুরে কোনও রাজনৈতিক সংলাপে যদি জাতীয় পার্টিকে ডাকা না হয়, সম্মান দেওয়া না হয়- তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই অধিকার আদায় করে নেবে। এর জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
গত ৭ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে নিজ নিজ ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
পোস্টে সারজিস আলম লিখেছিলেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?’
হাসনাত লিখেছিলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’
আরটিভি/এসএপি
রামপুরা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার এস আই খান আবদুর রহমান বলেন, ‘মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কদিন তার বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ‘কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে মাঝে দীর্ঘদিন তিনি নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে ছিলেন।
আরটিভি/এমকে
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই স্ত্রী, এমনটিও দাবি করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের।
এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। নিহত মাওলানা রুহুল আমীন (৩৭) সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের ডেমি গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে।
মাওলানা রুহুলের হিলালপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমামতি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতক নাদিয়া বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুল আমীনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সব টাকা ওই নারী তার স্বামীর কাছে দিতেন। দেশে আসার পর তাদের সংসার সুখের ছিল না। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। গত ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে ইমাম রুহুল আমীন অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় স্ত্রীর। শুক্রবার রাতের কোনো একসময় রুহুল আমীনকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন স্ত্রী নাদিয়া। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন স্ত্রী। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন তিনি।
পরে শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা খাটের নিচে রুহুল আমীনের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে রুহুল আমীনকে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন৷
আরটিভি/ এমকে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
পটুয়াখালীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার কাঠপট্টি এলাকার তালতলী রোডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আফরোজা আক্তার খাদিজা (২৫) পটুয়াখালী করিম মৃধা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে খাদিজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রেমিকের কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। পরে দুপুর ২টায় নিজ ঘরে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তখন ঘরে তার বাবা, মা এবং ভাই কেউ ছিলেন না। পরে আফরোজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার ছোট ভাই চিৎকার দিলে স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরটিভি/এএএ
ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ২ যুবক আটক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক নারী ও তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে, গত রোববার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন—হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)। তারা ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী চট্টগ্রামে গাড়ি চালান। উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক দুর্গম চরে ওই নারী তার এক ডিভোর্সি মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার এক দূর সম্পর্কের দেবর প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ৬ যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢোকেন। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ওই নারীর দূর সম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে তাকে ও তার মেয়েকে (২০) ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে আরও বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে ও অন্যরা তার মেয়েকে বসত-ঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকরা তাদের ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুইজনকে আটক করে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর