লক্ষ্মীপুরে চলছে দুর্গাপূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
লক্ষ্মীপুর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এ বছর জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ৭৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গাকে আগমনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা। পূজা ঘনিয়ে আসায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শহরের বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায় পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা ও প্রতিমা শিল্পীরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। কেউ প্রতিমায় তুলির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন, কেউ করছেন মণ্ডপের সাজসজ্জা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাদামাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং ও তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন শিল্পীরা।
এরই মধ্যে বেশির ভাগ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি ও মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তার সঙ্গে চলছে প্যান্ডেলের সাজসজ্জা ও রং-তুলির কাজ।
মৃৎশিল্পী হরিদাস পাল জানান, পূজা ঘনিয়ে আসায় দিনরাত কাজ করছেন তারা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার অর্ডার কম পেয়েছেন। বন্যার কারণে প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় আগের মতো লাভের মুখ দেখছেন না তারা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা জানান, মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় সবগুলো প্যান্ডেল সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কিছুটা শঙ্কা কাজ করছে। তবে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা হিন্দু সম্প্রদায়ের।
জেলা পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূজাকে ঘিরে জেলায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলার মধ্যে ২০টি মণ্ডপকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে আয়োজকদের সঙ্গে। পূজার নিরাপত্তায় প্রতিটি মণ্ডপভিত্তিক টহল টিম গঠন করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
মন্তব্য করুন