মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হলেন আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর
আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসকে আহ্বায়ক ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহানুর ইসলামকে সদস্য-সচিব করে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) মুন্নু ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টে এক বিশেষ সাধারণ সভায় এই কমিটি গঠিত হয়।
নবগঠিত কমিটিতে উপদেষ্টা করা হয়েছে জনকণ্ঠ, চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানুকে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- কাবুল উদ্দিন খান, শাহজাহান বিশ্বাস, বিপ্লব চক্রবর্তী, মঞ্জুর রহমান, রিপন আনছারী, শাহীনুল ইসলাম তারেক, জাহিদুল হক চন্দন, আকমল হোসেন, আজিজুল হাকিম, মতিউর রহমান, আহমেদ সাব্বির সোহেল, বি এম খোরশেদ, শহীদুল ইসলাম সুজন, মনিরুল ইসলাম মিহির, আব্দুল মোমিন, আশরাফুল আলম লিটন, এস এম সাইফুল্লাহ ও আকরাম হোসেন।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়। তারা হলেন, নুরপুর এলাকার একাধিক মামলার আসামি হান্নান মিয়া মেম্বার এবং আব্দুল্লাহপুর এলাকার কবির ভূঁইয়ার ছেলে নাঈম মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভারতে পালানোর সময় আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে ফজলে করিম চৌধুরীসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাউজানে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আরটিভি/এবি/এ
তলিয়ে গেছে কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা
টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণের কারণে তলিয়ে গেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা। পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল। শত শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের কলাতলী, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, টেকপাড়া, বাস টার্মিনাল, কালুরদোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়কসহ বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে শহরের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন অসংখ্য মানুষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে। এরপর রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণ পুরো শহরের আট লাখ মানুষের কর্মজীবন অনেকটাই থামিয়ে দেয়। এমন ভারী বর্ষণ গত ৫০ বছরে দেখেননি কেউ।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, এমন ভারী বর্ষণ এ জীবনে তিনি দেখেননি। বর্ষণে পর্যটন শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শহরের পাহাড়তলী বৈইল্লা পাড়ার বাসিন্দা বাবুল বড়ুয়া জানান, টানা বর্ষণে পাহাড়তলীর তিনটি সড়ক ডুবে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি ও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে নারী-শিশুরা চরম দুর্ভোগ আছে।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাইক্যাপাড়া, বন্দরপাড়া, উত্তর নুনিয়াছটার কয়েকশ’ ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ খাবার ও পানীয় জল সংকটে আছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ভারী বর্ষণ হলেই হোটেল-মোটেল জোনে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করে। পাহাড় কাটার কারণে সে মাটি বৃষ্টির পানিতে নিচের দিকে নেমে পানি চলাচলের নালা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। গত জুলাই মাসেও কয়েক দফায় ভারী বর্ষণে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমূহে ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে যেতে পারে। কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড়ধসের পৃথক ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরটিভি/ এফএ
সেই স্বর্ণা দাসের পরিবারের পাশে জামায়াত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাসের পরিবারের খোঁজখবর ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিহত স্বর্ণা দাসের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন জামায়াত নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, জুড়ী উপজেলার আমির হাফেজ নাজমুল ইসলাম, উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাই হেলাল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি লুৎফর রহমান আজাদী, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, সহ-সেক্রেটারি সাজিদ মাহমুদ, আহমদ আলী, শহিদুল হক কুনু, ইউপি সদস্য মদন মোহন দাশ ও আব্দুল হেকিম বাবুল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মদন মোহন দাস বলেন, ‘স্বর্ণা মামার বাড়ি যাওয়ার পথে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। সে স্থানীয় নিরোধ বিহারী স্কুলে পড়ালেখা করতো। মারা যাওয়ার একদিন পর আমাকে বলা হয় গাড়ি নিয়ে গিয়ে সীমান্ত থেকে মরদেহ আনার জন্য। তারপর মরদেহ নিয়ে এসে দাহ করি। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। তারা (বিএসএফ) চাইলে গুলি না করে জেলে নিতে পারতো। তারা কাস্টডিতে না নিয়ে সরাসরি গুলি করে একটা মেয়েকে মেরে ফেলল। এটা কতটা যৌক্তিক? এর নিন্দা জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, ‘জুড়ীবাসী নয় পুরো বাংলাদেশ স্বর্ণা দাসের ঘটনায় মর্মাহত। আমরা সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করি। আমাদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ভারতে রয়েছে, তাদের দেখতে ভারতে যাওয়া-আসা হয়। কেউ যদি অবৈধ অনুপ্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় আইন আছে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। একজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কোন ধরনের কথা? এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনে বিচার দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী বলেন, ‘আমরা স্বর্ণা দাসের ঘটনার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিই। আমি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
পুলিশ সদস্যের সঙ্গে রোহিঙ্গা কিশোরীর প্রেম, অতঃপর...
নোয়াখালীতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ৭দিন ধরে উধাও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের রোহিঙ্গা ইউনিট থেকে ওই কিশোরী পালিয়ে যান বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুর রশিদের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন ওই কিশোরী।
পালিয়ে যাওয়া কিশোরীর নাম খতিজা মুন্নি (১৫)। ওই কিশোরী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১২নং ক্লাস্টারের আবুল কালামের মেয়ে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুর রশিদ ওরফে নয়ন (২৭) ভাসানচর থানায় কর্মরত থাকাকালীন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিশোরী খতিজার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে অনেক দিন ধরে মুঠোফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে।
অভিযোগ রয়েছে, কনস্টেবল নয়ন ভাসানচরে দায়িত্বে থাকাকালীন নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার পাশাপাশি মদ, গাঁজা সেবন করে নেশাগ্রস্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এক মাস আগে নয়নকে ভাসানচর থানা থেকে ক্লোজ করে নোয়াখালী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে নয়নকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনসে রোল কলে পাওয়া যাচ্ছে না।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের রোহিঙ্গা ইউনিট থেকে একজন রোহিঙ্গা কিশোরী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। আমাদের কাজ হচ্ছে, চিকিৎসা দেওয়া। তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে রোহিঙ্গা কিশোরী নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ সদস্য অনুপস্থিত আছেন এটাও সত্য। ইন-ডিসিপ্লিন ও কর্তব্য কাজে উদাসীনতার কারণে তাকে ভাসানচর থানা থেকে পুলিশ লাইনসে নিয়ে আসা হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন বাবাও
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম (৪৫) নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ছিলেন।
শরিফুল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সাতাশিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শরিফুল তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবা নজরুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে নিহত শরিফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। তাদের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে ‘গণপিটুনিতে’ মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একপক্ষ। এতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ১৬ জনকে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। বর্তমানে হাসপাতালে আরও ৯ জন চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, রাতেই চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরটিভি/এএএ
নেতারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন: যুব মহিলা লীগ নেত্রী
গত ৫ আগস্ট জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এরপর দলটির নেতাদের অনেকে দেশ ত্যাগ করতে পারলেও সিংহভাগই আত্মগোপনে রয়েছেন। এরই মধ্যে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের নামেও মামলা হওয়া শুরু হয়েছে। তাদেরই একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতু।
সম্প্রতি সেতুর একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
ওই ভয়েস রেকর্ডে সেতু বলেন, ‘দল করেছি কিন্তু কখনও ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা বাঁকা করে তাকিয়েছেন, কেন তাকিয়েছেন সেটাও বুঝি? দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলাম, বিশ্রী তো আর না! কোন নেতা কোন দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন, সেটা জানি। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) কখনোই বোনের সম্মান দেননি। সবসময় তারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন। যে মেয়ের শরীরে উনারা (নেতারা) হাত দিতে পারতেন, তাকেই ভালো পদ দিতেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার নামে তিনটি মামলা হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন মামলা খেয়েছি। অনেক সিনিয়র নেত্রীরা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। আমি মামলা খেয়ে অনেক কষ্ট করতেছি, তারা ভালো থাকুক। মামলা খেলে তাদের কষ্ট হওয়ার কথা ছিল না, তাদের ঘরে কোনো বাচ্চা নেই। আমার ১৬ মাসের একটি ছোট বাচ্চা আছে। ওই বাচ্চাটাকে ফেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পড়ে আছি। একটা মানুষ আমার বাসায় খবর নেয় না, আমার ছোট তিনটা বাচ্চা কী খায়, বাচ্চাগুলো কী করে, বাড়িতে বাজার আছে কি না? তা ফোন দিয়ে কেউ খবর নেয়নি। তাতেও কোনো দুঃখ নেই।’
উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘বাংলা কথা বলি, এই নোংরা নেতাগুলোর কারণে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে। শুধু ইউনিয়ন লেভেল, উপজেলা লেভেল বা জেলা পর্যায়ে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যন্ত অনেক অনেক নোংরা নোংরা খবর আসতেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নায়িকাদের নিয়ে ফূর্তি করতেন। এগুলো করে বাংলাদেশে গজব নাজিল করেছে আওয়ামী লীগের ওপর।’
তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যেও আমাদের অনেক নেতাদের সান্নিধ্যে অনেকেই ছিল, যারা ছিল তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা যারা অবাধ্য ছিলাম, তাদের কথা শুনিনি, আজকে আমরাই মামলা খেয়েছি। দল ক্ষমতায় আসলে সুসময়ের পাখিরা আবার সুবিধা পাবেন। যারা কোলে বসতে পারেন তাদেরই ভালো জায়গা থাকে।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। সেগুলোতে উম্মে হানি সেতু নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ভয়েস রেকর্ড পাঠান। তবে আমাদের মধ্যের কেউ সেই রেকর্ড ফাঁস করেছেন। এটি খুবই দুঃখজনক।
ভয়েস রেকর্ড সম্পর্কে উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘আমি মামলা খাইয়া দৌঁড়ের ওপর আছি, আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। পারলে প্রমাণ করুন।’
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন এটি আপনি গ্রুপে দিয়েছেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন বদমায়েশি করে তখন মনে থাকে না, এখন আমারে নিয়া নাচতে আইছে।
আরটিভি/এসএপি-টি