করতোয়া নদীতে গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের সাতানা বালুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আ খ ম আসাদুজ্জামান।
নিহতরা হলো- সাতানা বালুয়া গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে আবু বকর (৭) ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া গ্রামের বুলু রহমানের ছেলে হোসাইন (৭)।
নিহত শিশুদের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি আ খ ম আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার বিকেলে ওই ২ শিশু করতোয়া নদীর বন্যার পানিতে সঙ্গীদের সঙ্গে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে আবু বকর ও হোসাইন নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ওসি আরও বলেন, সুরতহাল শেষে শিশু দুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন
রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত
রাজশাহীতে গণপিটুনিতে আহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত আব্দুল আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।
নিহত মাসুদ গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। স্বপরিবার চাকুরী সুবাদে সে বিনোদপুরে থাকতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত মাসুদ রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে রাজশাহী বিনোদপুর বাজারে ওষুধ কেনার জন্য আসলে গণপিটুনির শিকার হন।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিক্ষার্থীদের একটি দল মতিহার থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে নেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল মাসুদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
পরিবহন শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন।
যাত্রীরা জানায়, কোনো গাড়ি চলাচল করছে না। কেউ কেউ ছোট গাড়ি চালালে সেসব গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারী হাসিনার মতো সেক্রেটারি মুসা আমাদের রক্ত চুষে খেয়েছে। একটা লোকাল বাস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেলে কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের মতো নানান সংগঠনের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, পরিবহন সংগঠনের নামে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। এ সেক্টরের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এসময় কয়েকটি পরিবহন সংগঠনের নেতাদেরও দেখা গেছে। তারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন।
এক হাতে চাপাতি আরেক হাতে কাটা হাত, সিসিটিভিতে লোমহর্ষক দৃশ্য
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর তার ডান হাত কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে ওই নির্মম ঘটনা ঘটে।
মহিউদ্দিন পেশায় রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার ওলানপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি।
মহিউদ্দিনের বিচ্ছিন্ন হাতের অংশ নিয়ে হেঁটে যাওয়া এক যুবকের ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক হাতে চাপাতি আরেক হাতে মহিউদ্দিনের কাটা হাতের অংশ নিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে ওই যুবক হেঁটে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে ওলানপাড়া আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে মসজিদসংলগ্ন সড়কে দুর্বৃত্তরা মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল্লাহ প্রধান জানান, নিহত মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর কাটা হাত নিয়ে হাঁটা যুবকসহ আরও দুই-একজনের নাম জানতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আদালত প্রাঙ্গণে হিরো আলমকে মারধর, কান ধরে ওঠবস
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর পর মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করতে গিয়েছিলেন। তিন দফায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ আসনে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো অভিযোগ এনে মামলা করেন হিরো আলম।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।
বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেন, হিরো আলম মামলা করতে এসেছিলেন সরকারি লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিএনপির লোকজনের তাকে মারধর না করে বরং খুশি হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, বিএনপির কোন লোকজন তাকে মেরেছে, কারো নাম বলতে পারবেন তিনি? আসলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহিম রানা বলেন, তাকে (হিরো আলম) মারধর করা হয়েছে, এটা আমরা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে পেটানো কে এই যুবক
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লার বিরুদ্ধে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
ভাইরাল ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে চড়-থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী শাওন মোল্লাকে বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর সদর থানার পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন এসে শাওন মোল্লাকে সরিয়ে দেন।
ভিডিওতে আবদুর রশিদকে বলতে শোনা যায়, আমি কখনো আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে ছিলাম না। কোনো দুর্নীতি করিনি। যদিও এ সময় শাওন মোল্লা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হত। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
তবে বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার সুপারিশে কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়েও ক্ষিপ্ত ছিলেন শাওন মোল্লা।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে নানা ভাষায় গালাগালি করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিব।
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সঙ্গে আমার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংক কর্মকর্তা
কুমিল্লার চাঁদপুরে মতলব উত্তরে অগ্রণী ব্যাংকের ছেংগারচর বাজার শাখার ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংকটির ক্যাশ কর্মকর্তা দীপঙ্কর ঘোষ (৩৭) পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন।
জানা যায়, গত ২৯ জুলাই টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার পর থেকে ওই কর্মকর্তা আর ব্যাংকে আসেননি। তার বাসা তালাবদ্ধ। মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া। অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। বর্তমানে থানা ও ব্যাংকের উদ্যোগে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দীপঙ্করের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি উপজেলার ছেংগারচর এলাকায় ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একা থাকতেন। শেষ ২৮ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মস্থলে ছিলেন দীপঙ্কর ঘোষ। ওই দিন সন্ধ্যায় ব্যাংকের ভল্টে ১ কোটি ২ লাখ টাকা জমা রাখেন ব্যাংকটির শাখা কর্তৃপক্ষ। ভল্টের চাবি ছিল ক্যাশ কর্মকর্তা দীপঙ্করের কাছে। তিনি সেখান থেকে গোপনে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় চলে যান। পরে বাসায় তালা দিয়ে ওই দিন রাতেই কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। পরদিন ২৯ জুলাই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও অন্যা কর্মকর্তারা এসে দেখেন, ব্যাংকের ভল্ট খোলা এবং সেখানে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেই। এরপর থেকে দীপঙ্করের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। সেখানকার একজন জ্যেষ্ঠ প্রধান কর্মকর্তার (এসপিও) নেতৃত্বে ২ আগস্ট থেকে তদন্ত ও নিরীক্ষা (অডিট) চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই ক্যাশ কর্মকর্তা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
অগ্রণী ব্যাংকের চাঁদপুর অঞ্চলের ডিজিএম তপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে। চূড়ান্ত তদন্তে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যাংকিং আইনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতলব উত্তর থানার ওসি সানোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। আসামিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরটিভি/এমকে/এসএ
এবার মাশরাফীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।
রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল।
এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।
আরটিভি নিউজ/এসএপি-টি