ভারতে মহানবি (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে হিলিতে বিক্ষোভ
ভারতে বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় হিলি গোডাউন মোড়ে মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্র, স্থানীয় মুসল্লি ও ছাত্র সমাজ একত্রে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পরে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চারমাথায় উপস্থিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।
বিক্ষোভকারী মুসল্লিরা, নারায়ে তাকবীর, আল্লাহ আকবার, তুমি কে আমি কে বিশ্ব নবীর উম্মত, নবীর দুশমনের গালে জুতা মারো তালে তালে, ইসলামের শত্রু হুঁশিয়ার সাবধান, আমরা সবাই নবীর সেনা ভয় করি না বুলেট বোমাসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
আরটিভি/এএএ/এআর
মন্তব্য করুন
এবার মাশরাফীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।
রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল।
এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।
আরটিভি নিউজ/এসএপি-টি
দাদির জন্য খাটিয়া আনতে গিয়ে ৩ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদ থেকে খাটিয়া বহন করে বাড়িতে আনতে গিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন একজন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে লোহাগড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে (গুচ্ছগ্রাম) মাইটকুমড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পৌরসভার মাইটকুমড়া গ্রামের হেমায়েত শেখের ছেলে শামিম শেখ (৩০), একই গ্রামের রমজান বিশ্বাসের ছেলে জিয়া বিশ্বাস (৪০) ও একই গ্রামের জামাল মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যা (২০)। এ ছাড়া আহত হয়েছেন একই গ্রামের হবিবার শেখের ছেলে কুইন শেখ (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাসেল মোল্যার বৃদ্ধা দাদির লাশ দাফনের জন্য মসজিদ থেকে খাটিয়া বহন করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। কালনা-নড়াইল-বেনাপোল মহাসড়কের মাইটকুমড়া এলাকায় পৌঁছালে লোহাগড়ার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাক খাটিয়া বহনকারীদের ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন, একজন আহত হন।
স্থানীয়রা আহত কুইন শেখকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় একটি চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাসটির ড্রাইভার-হেলপার মিলে নারীকে ধর্ষণ করার অপরাধে থানায় মামলা হলে ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কর্ণফুলী থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের রাজা তালুকতার বাড়ির মো. ছৈয়দুল হকের ছেলে হেলপার সাহেদুল ইসলাম মিজান (১৯) ও পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের জামাল মেম্বার বাড়ির মৃত হাশেম খানের ছেলে ড্রাইভার মো. আজাদ খান প্রকাশ রানা (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী রাত সাড়ে ৯টার সময় পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে ওঠে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসের অন্যান্য যাত্রীরা মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে ভিকটিম নারী বাসে একা হয়ে যান। পরে বাসটি শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই তাকে একা পেয়ে হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করেন। পরে বাসটি নতুনব্রিজের চত্বর ঘুরে আবারও সেতু পার হয়ে পটিয়ার দিকে রওনা হলে ড্রাইভারও নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে বাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পটিয়া শান্তিরহাট বাজারে এসে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কর্ণফুলী থানায় হেলপার ড্রাইভার দুজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়। তারা হলেন, নুরপুর এলাকার একাধিক মামলার আসামি হান্নান মিয়া মেম্বার এবং আব্দুল্লাহপুর এলাকার কবির ভূঁইয়ার ছেলে নাঈম মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভারতে পালানোর সময় আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে ফজলে করিম চৌধুরীসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাউজানে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আরটিভি/এবি/এ
তলিয়ে গেছে কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা
টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণের কারণে তলিয়ে গেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা। পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল। শত শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের কলাতলী, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, টেকপাড়া, বাস টার্মিনাল, কালুরদোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়কসহ বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে শহরের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন অসংখ্য মানুষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে। এরপর রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণ পুরো শহরের আট লাখ মানুষের কর্মজীবন অনেকটাই থামিয়ে দেয়। এমন ভারী বর্ষণ গত ৫০ বছরে দেখেননি কেউ।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, এমন ভারী বর্ষণ এ জীবনে তিনি দেখেননি। বর্ষণে পর্যটন শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শহরের পাহাড়তলী বৈইল্লা পাড়ার বাসিন্দা বাবুল বড়ুয়া জানান, টানা বর্ষণে পাহাড়তলীর তিনটি সড়ক ডুবে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি ও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে নারী-শিশুরা চরম দুর্ভোগ আছে।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাইক্যাপাড়া, বন্দরপাড়া, উত্তর নুনিয়াছটার কয়েকশ’ ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ খাবার ও পানীয় জল সংকটে আছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ভারী বর্ষণ হলেই হোটেল-মোটেল জোনে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করে। পাহাড় কাটার কারণে সে মাটি বৃষ্টির পানিতে নিচের দিকে নেমে পানি চলাচলের নালা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। গত জুলাই মাসেও কয়েক দফায় ভারী বর্ষণে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমূহে ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে যেতে পারে। কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড়ধসের পৃথক ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরটিভি/ এফএ
সেই স্বর্ণা দাসের পরিবারের পাশে জামায়াত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাসের পরিবারের খোঁজখবর ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিহত স্বর্ণা দাসের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন জামায়াত নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, জুড়ী উপজেলার আমির হাফেজ নাজমুল ইসলাম, উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাই হেলাল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি লুৎফর রহমান আজাদী, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, সহ-সেক্রেটারি সাজিদ মাহমুদ, আহমদ আলী, শহিদুল হক কুনু, ইউপি সদস্য মদন মোহন দাশ ও আব্দুল হেকিম বাবুল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মদন মোহন দাস বলেন, ‘স্বর্ণা মামার বাড়ি যাওয়ার পথে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। সে স্থানীয় নিরোধ বিহারী স্কুলে পড়ালেখা করতো। মারা যাওয়ার একদিন পর আমাকে বলা হয় গাড়ি নিয়ে গিয়ে সীমান্ত থেকে মরদেহ আনার জন্য। তারপর মরদেহ নিয়ে এসে দাহ করি। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। তারা (বিএসএফ) চাইলে গুলি না করে জেলে নিতে পারতো। তারা কাস্টডিতে না নিয়ে সরাসরি গুলি করে একটা মেয়েকে মেরে ফেলল। এটা কতটা যৌক্তিক? এর নিন্দা জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, ‘জুড়ীবাসী নয় পুরো বাংলাদেশ স্বর্ণা দাসের ঘটনায় মর্মাহত। আমরা সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করি। আমাদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ভারতে রয়েছে, তাদের দেখতে ভারতে যাওয়া-আসা হয়। কেউ যদি অবৈধ অনুপ্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় আইন আছে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। একজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কোন ধরনের কথা? এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনে বিচার দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী বলেন, ‘আমরা স্বর্ণা দাসের ঘটনার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিই। আমি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
বাবার হাতে ছেলে খুন
যশোরের শার্শা উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামে বাবার কোদালের আঘাতে আহত ছেলে হাফেজ বাপ্পি মিয়া (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামে বাবার হাতে ছেলে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা যান বাপ্পি মিয়া। তিনি ওই গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে।
নিহতের চাচা আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন শুক্রবার বাবা ছেলের কাছে হাত খরচের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বাবা চান্দু মিয়া বাড়ির উঠানে থাকা কোদালের হাতলের আঘাতে বাপ্পি গুরুতর আহত হন। এ সময় ছেলে গুরুতর আহত হলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল রাতে ছেলে মারা যান।
নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরটিভি/এমকে