শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন নগরী। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে নানা অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সৈকতটি। সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে নানা পরিকল্পনার বক্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রতি বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রের ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকতের বালুক্ষয় হচ্ছে। ইতোমধ্যে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু স্থাপনা। ছোট হয়ে গেছে সৈকত লাগোয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বালুক্ষয় রোধে স্থায়ী সমাধান না খুঁজে প্রতিবছর জরুরি মেরামত প্রকল্প নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর এ প্রকল্পের বালুভর্তি জিওটিউব ও জিওব্যাগ সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। সৈকতের জিরো পয়েন্টের দু’পাশে দুই কিলোমিটার এলাকা এখন জিওটিউব ও জিওব্যাগের দখলে।
অপরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিছানো বালুভর্তি এসব জিওব্যাগে শ্যাওলা ধরছে। প্রতিনিয়ত পা পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন আগত পর্যটকরা। এমনকি সমুদ্রে গোসল করতে নেমে আহত হচ্ছেন সমুদ্রপ্রেমীরা। পর্যটকদের জন্য বিরক্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই সৈকতে। তাই যেখানে-সেখানে পড়ে থাকা জিওটিউব ও জিওব্যাগ দ্রুত অপসারণের দাবি পর্যটকদের। আর সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা গ্রহণ করে সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, সৈকতের বিরাজমান অব্যবস্থাপনা দূর করে সুপরিকল্পিতভাবে সাজাতে পারলে কুয়াকাটার হারানো জৌলুস ফিরে আসবে। অন্যথায় পর্যটকরা এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
সৈকতের পুরানো, জীর্ণ শীর্ণ, ছেড়া, শ্যাওলা ধরা জিওব্যাগ অপসারণের পক্ষে মত দিয়ে কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বালুর বস্তাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শন করেছি। জিও ব্যাগগুলো অপসারণ করলে সৈকতের কোনো ক্ষতি হবে কি না, সে বিষয়ে যাচাই বাছাই চলছে। তাদের মতামত পেলেই কুয়াকাটা পৌরসভার সহায়তায় বস্তাগুলো অপসারণ করে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হবে।
আরটিভি/এএএ-টি
মন্তব্য করুন