এক মাস পর কবর থেকে তোলা হলো গৃহবধূর মরদেহ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মৃত্যুর এক মাস ৮দিন পর ময়নাতদন্তের জন্যে নাছরিন নামের এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা, এএসপি (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও মামলার বাদী হাজী মো. ইব্রাহিম মিয়া।
মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নাছরিনকে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী তফাজ্জল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন।
গেলো ১২ নভেম্বর রাতেও টাকার জন্য নাছরিনকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে নাছরিনের বাবার বাড়ির লোকজন সেখানে গেলে তাদের সামনেই মারধর করা হয় নাছরিনকে। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
এরপর আসামিরা রাতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে নাছরিনের বাবা ইব্রাহিম মিয়া মেয়ের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন সকালে নাছরিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন কৌশলে মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে।
পরে ৪ ডিসেম্বর নাছরিনের বাবা মো. ইব্রাহিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নাসরিনের স্বামী তোফাজ্জলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার নাছরিন আক্তারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
২০০৯ সালের ১০ই জানুয়ারি সাদেকপুর ইউনিয়নের আবদুল আউয়ালের ছেলে তোফাজ্জলের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী রাজাখা গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে নাছরিনের। তাদের ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
জেবি/এমকে
মন্তব্য করুন