ভাসমান জুতা দেখে খোঁজাখুঁজি, হ্রদ থেকে ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার টিটিসি এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
দুই শিশুর নাম নোবেল চাকমা (৬) ও স্টেলা চাকমা (৬)।
স্থানীয় বাসিন্দা নলিন চাকমা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বাচ্চা দুটোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কাপ্তাই হ্রদের মধ্যে শিশুদের পায়ের জুতো ভাসতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা পানিতে নেমে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টিটিসি রোড এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। এই ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
আরটিভি নিউজ/ এবি
মন্তব্য করুন
শাহপরানের মাজারে যেসব কাজ নিষিদ্ধ হলো
সিলেটের হজরত শাহপরান (রহ.) মাজারে ওরসের নামে গান-বাজনাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) মাজার কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী রবিউল আউয়াল মাসের ৪, ৫ ও ৬ এই তিন দিন ওরসের আয়োজন করে থাকে মাজার কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিন খতমে কোরআন, দোয়া ও জিকির এবং মিলাদ মাহফিল। দ্বিতীয় দিন গিলাফ চড়ানো, গরু জবেহ, সারারাত জিকির ও মিলাদ মাহফিল এবং ভোর ৪টায় ফাতেহা পাঠ। শেষ দিন বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের পর নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
ওরস চলাকালে মাজার কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বাইরে ভক্ত আশেকানরা প্যান্ডেল করে নাচ-গান-মদ-জুয়া, গাজা, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ বিভিন্ন অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া মেলার নামে জুয়ার রমরমা আসর বসানো হয় ওরসের সময়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা ইবাদত বন্দেগি ছেড়ে এই সকল আসরে সময় কাটান। সেসব রোধ করতে এবার এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মাজারের খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ বলেন, মাজারে ওরস উপলক্ষে গান-বাজনা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কেউ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসবেন না। এখানে প্রতি বৃহস্পতিবার যে গান-বাজনা করা হয় তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেখা গেছে গান বাজনার আড়ালে এইখানে মাদকের ব্যবসা করা হয়। যা আমরা খাদিম পরিবার কোনোভাবে সমর্থন করি না। এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই। এখন থেকে বৃহস্পতিবারের গান-বাজনা বন্ধ থাকবে। কেউ যদি করার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা তা প্রতিহত করব।
সিলেট সিটি করপোরেশেনের ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাজারে গান-বাজনা ও অশ্লীলতা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে শাহপরান মাজারে গান-বাজনা, মাদক সেবনসহ সকল প্রকার অশ্লীল কার্যক্রম এখন থেকে বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে। বিষয়টি তদারকি করার জন্য মুসল্লি, ছাত্র-জনতা ও আলেমদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন হবে।
এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা এসব অসামাজিক-অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন ছাত্র-জনতা, উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসল্লিরা।
৫ মাদরাসাছাত্রী উদ্ধার, সবাই বিটিএসে ‘আসক্ত’
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার চাকলমুয়া সহীহ সুন্নাহ বালিকা মাদ্রাসার আবাসিকের নিখোঁজ সেই পাঁচ ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বগুড়া থেকে তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই পাঁচ ছাত্রী দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড দলে (বিটিএস) আসক্তি ছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠেছে এসেছে।
শুক্রবার ভোর থেকে ওই মাদরাসার আবাসিকের পাঁচ ছাত্রীর খোঁজ পাচ্ছিল না কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুরে মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (জিডি) দেন। পরে রাতে পুলিশ বগুড়া থেকে তাদের আটক করে কালাই থানায় নিয়ে আসে। মুসলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোরে মাদরাসার আবাসিকের পাঁচ শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। ঢাকায় যাওয়ার সময় বগুড়া থেকে নিখোঁজ পাঁচ ছাত্রীকে পাওয়া যায়। থানা এনে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
কালাই থানায় উপপরির্দশক (এসআই) তোফায়েল আহাম্মেদ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বলেন, মাদ্রাসার নিখোঁজ পাঁচ শিক্ষার্থী ছুটিতে নিজ বাড়িতে গেলে মুঠোফোনের ইউটিউবে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড দল (বিটিএস) দেখত। এতে তারা বিটিএসে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। তারা মাদরাসা থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে বিটিএস দল করে টাকা রোজগারের পরিকল্পনা করে।
রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত
রাজশাহীতে গণপিটুনিতে আহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত আব্দুল আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।
নিহত মাসুদ গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। স্বপরিবার চাকুরী সুবাদে সে বিনোদপুরে থাকতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত মাসুদ রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে রাজশাহী বিনোদপুর বাজারে ওষুধ কেনার জন্য আসলে গণপিটুনির শিকার হন।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিক্ষার্থীদের একটি দল মতিহার থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে নেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল মাসুদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
পরিবহন শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন।
যাত্রীরা জানায়, কোনো গাড়ি চলাচল করছে না। কেউ কেউ ছোট গাড়ি চালালে সেসব গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারী হাসিনার মতো সেক্রেটারি মুসা আমাদের রক্ত চুষে খেয়েছে। একটা লোকাল বাস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেলে কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের মতো নানান সংগঠনের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, পরিবহন সংগঠনের নামে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। এ সেক্টরের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এসময় কয়েকটি পরিবহন সংগঠনের নেতাদেরও দেখা গেছে। তারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন।
এক হাতে চাপাতি আরেক হাতে কাটা হাত, সিসিটিভিতে লোমহর্ষক দৃশ্য
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর তার ডান হাত কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে ওই নির্মম ঘটনা ঘটে।
মহিউদ্দিন পেশায় রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার ওলানপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি।
মহিউদ্দিনের বিচ্ছিন্ন হাতের অংশ নিয়ে হেঁটে যাওয়া এক যুবকের ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক হাতে চাপাতি আরেক হাতে মহিউদ্দিনের কাটা হাতের অংশ নিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে ওই যুবক হেঁটে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে ওলানপাড়া আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে মসজিদসংলগ্ন সড়কে দুর্বৃত্তরা মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল্লাহ প্রধান জানান, নিহত মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর কাটা হাত নিয়ে হাঁটা যুবকসহ আরও দুই-একজনের নাম জানতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আদালত প্রাঙ্গণে হিরো আলমকে মারধর, কান ধরে ওঠবস
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর পর মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করতে গিয়েছিলেন। তিন দফায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ আসনে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো অভিযোগ এনে মামলা করেন হিরো আলম।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।
বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেন, হিরো আলম মামলা করতে এসেছিলেন সরকারি লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিএনপির লোকজনের তাকে মারধর না করে বরং খুশি হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, বিএনপির কোন লোকজন তাকে মেরেছে, কারো নাম বলতে পারবেন তিনি? আসলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহিম রানা বলেন, তাকে (হিরো আলম) মারধর করা হয়েছে, এটা আমরা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে পেটানো কে এই যুবক
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লার বিরুদ্ধে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
ভাইরাল ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে চড়-থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী শাওন মোল্লাকে বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর সদর থানার পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন এসে শাওন মোল্লাকে সরিয়ে দেন।
ভিডিওতে আবদুর রশিদকে বলতে শোনা যায়, আমি কখনো আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে ছিলাম না। কোনো দুর্নীতি করিনি। যদিও এ সময় শাওন মোল্লা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হত। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
তবে বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার সুপারিশে কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়েও ক্ষিপ্ত ছিলেন শাওন মোল্লা।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে নানা ভাষায় গালাগালি করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিব।
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সঙ্গে আমার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।