• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

পরকীয়া প্রেমিকের পাওনা টাকা না দেওয়ায় ট্রিপল মার্ডার

আরটিভি নিউজ

  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকার তিন জনকে খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মূলঘাতক আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্লুলেস একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আশফিকুজ্জামান আক্তার। এর আগে শুক্রবার রাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা পুলিশ জানায়, মোবাইল টেকনোলজি এবং বেশ কয়েকটি আলামতের ভিত্তিতে ঘাতক আক্তার হোসেনকে সন্দেহের আওতায় আনা হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, নিহত মাহমুদার সঙ্গে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে সে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয়। সেই টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘুরাতে থাকেন মাহমুদা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন মাহমুদা, ঘাতক আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহেদ এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা মনি। খাওয়া শেষে তিশা ও শাহেদ ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে ঝগড়া বাঁধে মাহমুদা ও আক্তারের মধ্যে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। পরে আক্তার ভাবতে থাকে তিশা ও শাহেদ তো আক্তারকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান ঘাতক আক্তার।

হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ঘাতক আক্তার।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার হোমনার একটি বসতবাড়ি থেকে মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশার (১৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী কুমিল্লায়
কুমিল্লায় অবৈধ অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা জনি গ্রেপ্তার
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ
কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা, আটক ৪