• ঢাকা শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
logo

সাবেক এমপি একরামসহ আ.লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৫৭
সাবেক এমপি একরামসহ আ.লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা
ছবি : সংগৃহীত

ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন (১৭) হত্যার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) নিহত শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি।

জানা যায়, নিহত খোকন পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার জন্য সদর উপজেলার দত্তেরহাট দত্তবাড়ির মোড়ে জমায়েত হন।

খোকন তখন নিজের বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একপর্যায়ে খোকন সোনাপুর-মাইজদীর প্রধান সড়কে গেলে সাবেক এমপি একরামুল, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা সিএনজি কামাল, পৌর কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশে অতর্কিত হামলা করেন। তখন ১ থেকে ২০ নম্বর আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকলে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়।

মামলায় আরও বলা হয়, খবর পেয়ে নিহত শ্রমিকের বাবা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর তাকে মৃত ভেবে লাশ গুম করার জন্য ময়লাযুক্ত খালে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর সুধারাম থানায় মামলা করতে গেলে আসামিদের রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ নিহতের বাবার মামলা না নিয়ে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীকালে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, যার কারণে তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার পাননি।

সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘মামলার এজাহার হাতে পেয়েছি। তবে বর্তমানে সার্ভার চালু নেই। সার্ভার চালু হলেই মামলা রেকর্ড করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
থানা থেকে লুট হওয়া রাইফেল মিলল ঝোপে
নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কবিরহাটে বৃদ্ধা নারী খুন, গ্রেপ্তার ২
১০ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি নেতা