• ঢাকা সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

বন্যার্তদের সেবায় হাজীপুরার তরুণ সমাজ, আশ্রয়কেন্দ্র ছিল মাদরাসা

আরটিভি নিউজ

  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩৩

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে প্লাবিত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে বন্যায় বিপন্ন জনপদে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের হাজীপুরা গ্রামের কিছু উদ্যমী যুবক। সাধ্যের সবটুকু দিয়ে শুরু থেকেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা।

আকস্মিক বন্যা শুরু হওয়ার পর বন্যার্ত অঞ্চলের মাদরাসাগুলো হয়ে উঠেছে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষের আশ্রয়স্থল। হাজীপুরাতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেখানে বালিকা মাদরাসায় স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৪৫৭ জন। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছেন ওইসব যুবকরা। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিমের দায়িত্বে থাকা সেলিম হাসনাত বিজয় বলেন, এ অঞ্চলে কখনো এমন বন্যা দেখিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্যায় সব ভেসে গেল। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক এলাকার সবাইকে মাদ্রাসায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা খবর পাঠাই।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দরভাবে সকল কাজ স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ হয়েছে। যা আশেপাশের এলাকার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

এদিকে বন্যার পানি যতই কমছে, ততই দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। ভেসে উঠছে সড়কগুলো যেগুলোতে খানাখন্দে ভরে গেছে।

এ ছাড়া প্লাবিত কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলাগুলোতে বন্যা পানি কমে পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী ছিলেন। ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নেয়। যাদের বেশিরভাগ এখন ফিরছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিজের ঘরবাড়িতে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বন্যার ক্ষতি মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বৃষ্টি ও বন্যা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা, খরচ নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
বন্যাকবলিতদের পুনর্বাসনেও কাজ করবে আনসার-ভিডিপি: মহাপরিচালক