লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের পাশে ‘স্বপ্নের সোনারগাঁ’
লক্ষ্মীপুরের ১৮ নম্বর কুশাখালী ইউনিয়নে তিনদিন ধরে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও পোশাক বিতরণ করেছে ‘স্বপ্নের সোনারগাঁ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
গ্রামটির বেশিরভাগ বাড়িঘর বন্যায় প্লাবিত হয়ে যাওয়ার পর তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় প্রায় ৪০০ মানুষ। তাছাড়া এলাকায় আরও কয়েকশ' মানুষ পানিবন্দি হয়ে ঘরেই অবস্থান করছিলেন। কোনো শুকনো জায়গা না থাকায় রান্না করা অসম্ভব ছিলো। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার খাওয়ানো হচ্ছিলো। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী স্বপ্নের সোনারগাঁয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সংগঠনটির প্রশাসক শহিদুল ইসলাম সুমন অনতিবিলম্বে তাদের দুর্যোগ তহবিল ও টিম প্রেরণ করেন লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও পোশাক নিয়ে যায় লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এই গ্রামে।
এ বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ত্রাণ সামগ্রী দিলেও রান্না করার সুযোগ ছিল না সেখানে তাই স্থানীয় একটি আশ্রয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে চলে রান্নার কাজ। পরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রের ৪০০ মানুষের মাঝে। এ ছাড়াও পানিবন্দি এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে গিয়ে বিতরণ করা হয় আরও ৩০০ প্যাকেট খাবার। পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদের ছিল মেডিকেল সাপোর্ট টিম। বিতরণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। অনেকের পোশাক প্রয়োজন ছিল, তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় পোশাক।
তিনি বলেন, সকালে পানিবন্দি মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হয় চিনিগুড়া চালের ভুনাখিচুড়ি ও ডিম, দুপুরে সাদা ভাত, মুরগির তরকারি ও মুগডাল ভুনা এবং রাতে ব্যবস্থা করা হয় মুরগি দিয়ে ভুনাখিচুড়ি।
উল্লেখ্য, স্বপ্নের সোনারগাঁয়ের কার্যক্রম ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট পর্যন্ত চলেছে। এর পূর্বে ২০২২ সালে সিলেটে বন্যার সময়ও সংগঠনটি তাদের ত্রাণ তহবিল ব্যবহার করে ৪ টন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিল সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায়। সংগঠনটি সোনারগাঁওব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
মন্তব্য করুন