• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

লালমনিরহাটের সাবেক এমপিসহ ১২৮ জনের নামে আশুলিয়ায় মামলা

আশুলিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২১ আগস্ট ২০২৪, ২২:৩২
ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় মো. সুজন ইসলাম (২৫) নামের এক তরুণ নিহতের ঘটনায় লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১২৮ নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবা মো. সহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

নিহত মো. সুজন ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি এলাকার মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে। আন্দোলন চলাকালে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় মামাতো ভাইয়ের ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।

মামলায় লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, আ্যাডভোকেট শফুরা খাতুন, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন বাবুল, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, হাতীবান্ধার পশ্চিম বেজ গ্রামের মো. সেলিম হোসেন, উপজেলার বড়খাতা এলাকার মো. আলমগীর হোসেন রন্টু, মো. কবির হোসেন, দিলীপ কুমার সিংহ, মো. রাশেদ জামান বিলাশ, সুমন খান, আমিনুল খান, মো. সুলতান আহমেদ রাজন, মো. স্বাধীনকে আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা।

এ ছাড়া মামলায় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন ভূঁইয়া, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, শাহজাহান মন্ডল, এনামুল হক মুন্সি, মঞ্জু দেওয়ান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মোতালেব ব্যাপারী, শাহাবুদ্দিন মাদবরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার সব আসামি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মী।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদির ছেলে গত জুন ও জুলাই মাসে হাতিবান্ধা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। এ কারণে ১-১৬ নম্বর আসামি আন্দোলন বন্ধে তাকে চাপ দেয়। এ নিয়ে তারা ৭ নম্বর আসামি মাহমুদুল হাসান সোহাগের বাসায় যোগসাজশ ও শলাপরামর্শ করে। তাদের ভয় ও চাপে পড়ে গত ৩০ জুলাই হাতিবান্ধা থেকে মামলার সাক্ষী গোলাম মোস্তফার আশুলিয়ার বাইপাইলের ভাড়া বাসায় চলে আসে।

সেখানে থাকাকালেই গত ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাইপাইল এলাকায় চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। ওই সময় আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, লোহার রড, বাঁশ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটাসহ অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অন্য আসামিরাও সেখানে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে অজ্ঞাত আসামিরা ঘটনাস্থলে থাকা সুজনকে মাথায় গুলি করে। গুলি কানের এক পাশ দিয়ে ঢুকে মাথার খুলির মাঝখান দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর আসামিরা একইভাবে আরও প্রাণহানি ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় বাদির ছেলে সেখানে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে পার্শ্ববর্তী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সভা
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একদিনে ডিএমপির ১১৩১ মামলা
আশুলিয়ায় ১০ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, আটক ২
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ২ দিনের রিমান্ডে