ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুল আজিজ নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে শার্শার কাগজপুর রেল ক্রসিংয়ের ৫০ মিটার পূর্বে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজ বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার কাগমারী গ্রামের আসমত শেখের ছেলে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায়, ইতোপূর্বে একবার ট্রেন দুর্ঘটনায় আজিজের একটি হাত ভেঙে যায়। তারপর থেকে তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আজ সকালে শার্শা থেকে বেনাপোলগামী রেল লাইন ধরে হাটার সময় মোংলাগামী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। বর্তমানে লাশ রেলওয়ে থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সেই স্বর্ণা দাসের পরিবারের পাশে জামায়াত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাসের পরিবারের খোঁজখবর ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিহত স্বর্ণা দাসের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন জামায়াত নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, জুড়ী উপজেলার আমির হাফেজ নাজমুল ইসলাম, উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাই হেলাল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি লুৎফর রহমান আজাদী, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, সহ-সেক্রেটারি সাজিদ মাহমুদ, আহমদ আলী, শহিদুল হক কুনু, ইউপি সদস্য মদন মোহন দাশ ও আব্দুল হেকিম বাবুল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মদন মোহন দাস বলেন, ‘স্বর্ণা মামার বাড়ি যাওয়ার পথে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। সে স্থানীয় নিরোধ বিহারী স্কুলে পড়ালেখা করতো। মারা যাওয়ার একদিন পর আমাকে বলা হয় গাড়ি নিয়ে গিয়ে সীমান্ত থেকে মরদেহ আনার জন্য। তারপর মরদেহ নিয়ে এসে দাহ করি। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। তারা (বিএসএফ) চাইলে গুলি না করে জেলে নিতে পারতো। তারা কাস্টডিতে না নিয়ে সরাসরি গুলি করে একটা মেয়েকে মেরে ফেলল। এটা কতটা যৌক্তিক? এর নিন্দা জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, ‘জুড়ীবাসী নয় পুরো বাংলাদেশ স্বর্ণা দাসের ঘটনায় মর্মাহত। আমরা সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করি। আমাদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ভারতে রয়েছে, তাদের দেখতে ভারতে যাওয়া-আসা হয়। কেউ যদি অবৈধ অনুপ্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় আইন আছে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। একজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কোন ধরনের কথা? এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনে বিচার দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী বলেন, ‘আমরা স্বর্ণা দাসের ঘটনার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিই। আমি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
পুলিশ সদস্যের সঙ্গে রোহিঙ্গা কিশোরীর প্রেম, অতঃপর...
নোয়াখালীতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ৭দিন ধরে উধাও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের রোহিঙ্গা ইউনিট থেকে ওই কিশোরী পালিয়ে যান বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুর রশিদের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন ওই কিশোরী।
পালিয়ে যাওয়া কিশোরীর নাম খতিজা মুন্নি (১৫)। ওই কিশোরী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১২নং ক্লাস্টারের আবুল কালামের মেয়ে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজুর রশিদ ওরফে নয়ন (২৭) ভাসানচর থানায় কর্মরত থাকাকালীন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিশোরী খতিজার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে অনেক দিন ধরে মুঠোফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে।
অভিযোগ রয়েছে, কনস্টেবল নয়ন ভাসানচরে দায়িত্বে থাকাকালীন নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার পাশাপাশি মদ, গাঁজা সেবন করে নেশাগ্রস্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এক মাস আগে নয়নকে ভাসানচর থানা থেকে ক্লোজ করে নোয়াখালী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে নয়নকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনসে রোল কলে পাওয়া যাচ্ছে না।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের রোহিঙ্গা ইউনিট থেকে একজন রোহিঙ্গা কিশোরী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। আমাদের কাজ হচ্ছে, চিকিৎসা দেওয়া। তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে রোহিঙ্গা কিশোরী নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ সদস্য অনুপস্থিত আছেন এটাও সত্য। ইন-ডিসিপ্লিন ও কর্তব্য কাজে উদাসীনতার কারণে তাকে ভাসানচর থানা থেকে পুলিশ লাইনসে নিয়ে আসা হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন বাবাও
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম (৪৫) নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ছিলেন।
শরিফুল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সাতাশিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শরিফুল তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবা নজরুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে নিহত শরিফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। তাদের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে ‘গণপিটুনিতে’ মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একপক্ষ। এতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ১৬ জনকে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। বর্তমানে হাসপাতালে আরও ৯ জন চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, রাতেই চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরটিভি/এএএ
নেতারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন: যুব মহিলা লীগ নেত্রী
গত ৫ আগস্ট জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এরপর দলটির নেতাদের অনেকে দেশ ত্যাগ করতে পারলেও সিংহভাগই আত্মগোপনে রয়েছেন। এরই মধ্যে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের নামেও মামলা হওয়া শুরু হয়েছে। তাদেরই একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতু।
সম্প্রতি সেতুর একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
ওই ভয়েস রেকর্ডে সেতু বলেন, ‘দল করেছি কিন্তু কখনও ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা বাঁকা করে তাকিয়েছেন, কেন তাকিয়েছেন সেটাও বুঝি? দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলাম, বিশ্রী তো আর না! কোন নেতা কোন দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন, সেটা জানি। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) কখনোই বোনের সম্মান দেননি। সবসময় তারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন। যে মেয়ের শরীরে উনারা (নেতারা) হাত দিতে পারতেন, তাকেই ভালো পদ দিতেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার নামে তিনটি মামলা হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন মামলা খেয়েছি। অনেক সিনিয়র নেত্রীরা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। আমি মামলা খেয়ে অনেক কষ্ট করতেছি, তারা ভালো থাকুক। মামলা খেলে তাদের কষ্ট হওয়ার কথা ছিল না, তাদের ঘরে কোনো বাচ্চা নেই। আমার ১৬ মাসের একটি ছোট বাচ্চা আছে। ওই বাচ্চাটাকে ফেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পড়ে আছি। একটা মানুষ আমার বাসায় খবর নেয় না, আমার ছোট তিনটা বাচ্চা কী খায়, বাচ্চাগুলো কী করে, বাড়িতে বাজার আছে কি না? তা ফোন দিয়ে কেউ খবর নেয়নি। তাতেও কোনো দুঃখ নেই।’
উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘বাংলা কথা বলি, এই নোংরা নেতাগুলোর কারণে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে। শুধু ইউনিয়ন লেভেল, উপজেলা লেভেল বা জেলা পর্যায়ে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যন্ত অনেক অনেক নোংরা নোংরা খবর আসতেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নায়িকাদের নিয়ে ফূর্তি করতেন। এগুলো করে বাংলাদেশে গজব নাজিল করেছে আওয়ামী লীগের ওপর।’
তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যেও আমাদের অনেক নেতাদের সান্নিধ্যে অনেকেই ছিল, যারা ছিল তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা যারা অবাধ্য ছিলাম, তাদের কথা শুনিনি, আজকে আমরাই মামলা খেয়েছি। দল ক্ষমতায় আসলে সুসময়ের পাখিরা আবার সুবিধা পাবেন। যারা কোলে বসতে পারেন তাদেরই ভালো জায়গা থাকে।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। সেগুলোতে উম্মে হানি সেতু নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ভয়েস রেকর্ড পাঠান। তবে আমাদের মধ্যের কেউ সেই রেকর্ড ফাঁস করেছেন। এটি খুবই দুঃখজনক।
ভয়েস রেকর্ড সম্পর্কে উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘আমি মামলা খাইয়া দৌঁড়ের ওপর আছি, আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। পারলে প্রমাণ করুন।’
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন এটি আপনি গ্রুপে দিয়েছেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন বদমায়েশি করে তখন মনে থাকে না, এখন আমারে নিয়া নাচতে আইছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় শিশুর শরীর ঝলসে দিলেন নারী
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামে এক শিশুর শরীর গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছেন ছায়ের খাতুন (৫৫) নামে এক নারী। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন।
আহত পপি আক্তার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সে স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায় প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরীটি অসহায় হওয়ায় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও শিশুর মামা মো. দিদার বলেন, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টুমি করে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে। কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আরটিভি/এমকে-টি
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক দল যুবক ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা’ গানটি গেয়ে রীতিমতো উল্লাস করতে করতে খুঁটির সঙ্গে এক যুবককে বেঁধে পেটাচ্ছে। পরে ওই যুবকের মরদেহ রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসলেও গত ১৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন দুই নম্বর গেট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর দিন ১৪ আগস্ট ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রবর্তক মোড় থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তা শনাক্ত করা হয়। নিহত যুবক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি এলাকায় থাকতেন তিনি। চাকরি করতেন স্টেশন রোডে অবস্থিত ফলমন্ডির একটি দোকানে। হত্যার ভিডিওটি দেখে স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, এটি তার স্বামীকে মারারই দৃশ্য। এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
এ ঘটনায় তার চাচা মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৩ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যান শাহাদাত। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার স্ত্রীর শারমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় শাহাদাতের। তখন কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবেন বলে স্ত্রীকে জানান। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি। এতে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তখন তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে নিহতের চাচা হারুন জানতে পারেন প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহ মিয়া (রহ.) মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের লাশ পড়ে আছে। ওই রাতেই পুলিশের সাহায্যে তিনি লাশটি উদ্ধার করেন। পরে লাশটি মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান রোববার রাতে বলেন, ‘খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী সেটি দেখে নিশ্চিত করেন যে, মারধরের শিকার ব্যক্তিটিই তার স্বামী।’
তিনি বলেন, ‘যারা শাহাদাতকে হত্যার সাথে জড়িত তাদের খুব দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনা খুবই কষ্টকর। আমরা খুব দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করব, ইনশাআল্লাহ। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
আরটিভি/এসএপি