• ঢাকা বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১
logo

সাউন্ড গ্রেনেডে আহত ৩ পুলিশ, এজাহারে উল্লেখ ‘বিক্ষোভকারীদের ককটেল’

আরটিভি নিউজ

  ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন চেরাগি পাহাড় মোড়ে নিজেদের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের প্রতিবাদে করা বিক্ষোভ মিছিলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার বিকেল চারটার দিকে লাঠিপেটা করার পর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সেনা ও বিজিবিও মোতায়েন ছিল। ওই বিক্ষোভে পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল, এরপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে আহত হন কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী, এসআই মোশারফ হোসেন হাবিব ও এসআই মেহেদী হাসান শুভ।

জানা গেছে, এ ঘটনার দিন সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানার এসআই নয়ন বড়ুয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এর মধ্যে এক কিশোরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিশে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় কর্তব্যরত এসআই মোশাররফ হোসাইন গুরুতর জখম হন। আহত হন এসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল আবু রায়হানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, ‘সোমবার (২৯ জুলাই) ঘটনায় বিস্ফোরণ ও স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে চারজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় আরও অজ্ঞাত নামা ২০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তারেক আজিজ বলেন, আন্দোলনকারীদের ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলার ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি টিকলু কুমার দে বলেন, আমাদের হাতে একটি লাঠিও ছিল না। আমরা ককটেল কখনও চোখেও দেখিনি। পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। তাদের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে তারাই আহত হন। এখন তারা বলছেন, আমরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। হাস্যকর!’

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পুলিশের কাজে গতি ফেরাতে যুক্ত হচ্ছে ৫০ গাড়ি
পুলিশের ৬ ডিআইজিকে বদলি
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩০ কর্মকর্তার পদায়ন
মান্দা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার