‘ওরা নামাজি আর মেধাবী ছেলেটাকে কেড়ে নিয়ে গেল’
‘বারবার বললাম বাবা বাড়ি ফিরে আয়, বাড়ি ফিরে আয়। আসলি না। ওরা তোকে কেড়ে নিয়ে গেল। আসিফ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি আর মেধাবী ছেলে, ওরা ছেলেটাকে কেড়ে নিয়ে গেল।’
সোমবার (২৯ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত আসিফ হাসানের মা শিরিন বেগম কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলেন।
এদিন সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী উপজেলা দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আস্কারপুরে গ্রামে আসিফ হাসানের বাড়িতে যেয়ে দেখা যায়, সেখানে শোকের মাতম চলছে। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আসিফের মা। শোকস্তব্ধ বাবা।
জানা গেছে, মাছের ঘের ব্যবসায়ী মাহমুদ আলী গাজি ২০১৪ সালে ১১ বছর বয়সে আসিফের মা মারা গেলে শিরিনা বেগমকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে শিরিনা বেগম আদর স্নেহে বড় করে তোলেন দুই জমজ ভাই আসিফ হাসান ও রাকিব হাসানকে। আসিফ রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর রাকিব সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন আসিফ হাসান।
আসিফের ভাই রাকিব বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে। আমাদের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও পেয়েছে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আল ফেরদৌস আলফা বলেন, ‘আসিফের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী আসিফের পরিবারকে নগদ অর্থ দিয়েছেন, দিয়েছেন ডিপোজিট অর্থ।’
মন্তব্য করুন