• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পৃথুরাজা সপরিবারে আত্মহত্যা করেন যে দীঘিতে

জুলহাস কবীর

  ০২ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩০

অবহেলা, অযত্ন ও অব্যবস্থাপনায় দিন দিন পর্যটক হারাচ্ছে হাজার বছরের ইতিহাস নন্দিত পঞ্চগড়ের ‘মহারাজার দীঘি’। অথচ দিনভর পাখির কলতান, দীঘির টলমলে স্বচ্ছ পানি, শুনশান নীরবতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আজও মন কাড়ে সবার। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ‘মহারাজার দীঘি’ হয়ে উঠতে পারে অন্যতম কেন্দ্র। পঞ্চগড় ঘুরে এসে রিপোর্ট করছেন জুলহাস কবীর। সহায়তা করেছেন প্রতিনিধি রাজিউর রহমান রাজু। ছবি তুলেছেন নিহার নন্দী।

দীঘির পানিতে ঢেউয়ের খেলা। এমন বিস্তৃত গভীর নীল জলরাশির বিশালতা থেকে অরণ্যের সবুজ সতেজতা কার না মন কাড়ে। প্রকৃতি যেখানে উজাড় করে দিয়েছে তার সৌন্দর্যকে সেখানেই তো বারবার ছুটে আসে প্রকৃতিপ্রেমীরা। অথচ এই সৌন্দর্যের মাঝেই লুকিয়ে আছে নির্মম এক ইতিহাস। নিম্ন শ্রেণীর হাত থেকে জাত-ধর্ম বাঁচাতে ইতিহাসখ্যাত পৃথুরাজা প্রায় দেড় হাজার বছর আগে নিজের গড়া এই দীঘিতেই ধনরত্ন ও পরিবার নিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। সে থেকে পৃথুরাজা অমর হয়ে আছেন পঞ্চগড়ের মহারাজার দীঘিতে।

পঞ্চগড় শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড়ের প্রায় ৫৪ একর আয়তনের এ দীঘির স্বচ্ছ জলরাশির মনভোলা প্রশান্তি উদাস করে দেয় পর্যটকদের হৃদয়-মন। চারপাশে নয়নাভিরাম বিশাল সবুজের সমারোহ। উঁচু পাড় জুড়ে শতবর্ষী শতশত গাছ। তাতে নাম না জানা হাজারও পাখির খুনসুটিতে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।

বিশালাকার দীঘির পাড়ের উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। জলভাগের আয়তন প্রায় ৪শ’ ও দু’শ গজ। পানির গভীরতা প্রায় ৪০ ফুট বলে স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস। দিঘীতে রয়েছে মোট ১০টি ঘাট। এর ভিতরে মন্দির, প্রসাদ, ইমারত, বাইরে পরিখা ও মানীর প্রাচীর এখনো দেখা যায়।

নাগরিক জীবনে কিছুটা বৈচিত্র্য আর প্রশান্তির আশায় দীঘির শান্তস্নিগ্ধ পরিবেশে সারাবছর ছুটে আসেন অগণিত ক্লান্ত মানুষ। তবে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে মহারাজার দীঘিটি আজও তেমন একটা পরিচিতি লাভ করতে পারেনি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরা দীঘিটি পর্যটন শিল্প বিকাশে রাখতে পারে বড় ভূমিকা।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh