বাংলাবান্ধায় কুলি শ্রমিকদের ৭ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্য খালাস কাজে সুযোগের দাবিতে কুলি শ্রমিকদের একটি সংগঠন বাংলাবান্ধা-ঢাকা মহাসড়ক ৭ ঘণ্টা অবরোধ করে।
রোববার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বাংলাবান্ধা-ঢাকা মহাসড়কের সিপাইপাড়া বাজার এলাকায় এ অবরোধ চলে।
এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। দুর্ভোগে পড়ে বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী পর্যটক, রোগী, ছাত্র ও ব্যবসায়ীরা। অবরোধকারীরা মহাসড়কে শুয়ে, বসে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মালামাল লোড-আনলোড করার জন্য দুটি শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। এর একটির রেজিস্ট্রার নম্বর ২৬৩৪ এবং অপরটির রেজিস্ট্রার নম্বর ২৩০৫।
এরমধ্যে ২৬৩৪ রেজিস্ট্রারের ১শ’৫৭ জন শ্রমিকের মধ্যে সবাই কাজ করার সুযোগ পেলেও ২৩০৫ রেজিস্ট্রারের মাত্র ৪০ জন সদস্য কাজ করার সুযোগ পান।
এ নিয়ে দুটি ইউনিয়নের শ্রমিক নেতারা একাধিকবার বৈঠক করলেও কোনো কাজ না হওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।
পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তেঁতুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আব্দুস ছবুর, ভজনপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা আগামী ৭ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।
তেঁতুলিয়া উপজেলা লোড আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের(২৩০৫) সভাপতি মো. গোলাম রসুল আরটিভি অনলাইনকে জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে দুটি কুলি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সমহারে কাজ ভাগাভাগির দাবিতে এই অবরোধ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা লোড আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের (২৬৩৪) ১৫৪ জন সদস্যের সবাই কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। অথচ আমাদের সংগঠনের মাত্র ৪০ জন সদস্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। আমাদের সদস্য সংখ্যা ২৬০ জন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ দাবি করে আসছি।
বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান খুদরত-ই-খুদা মিলন আরটিভি অনলাইনকে জানান, দুটি কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সমহারে কাজ করার দাবিতে কুলি শ্রমিকদের একটি সংগঠন অবরোধ করেছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
জেবি/এসএস
মন্তব্য করুন