স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ছাত্রের লাশ, ৩ পরীক্ষার্থী আটক
কুমিল্লার হোমনায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর জাহিদ হাসান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে হোমনা উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে জাহিদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত জাহিদ হাসান হোমনা উপজেলার সাপলেজি গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। সে চন্দ্রমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
হোমনা থানার ওসি রসূল আহম্মেদ বলেন, একটি ফোন কলের সূত্র ধরে এ ঘটনায় তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতেই জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গেলো পাঁচ দিন আগে সন্ধ্যায় জাহিদ হাসানকে বাড়ির সামনে থেকে পাশের দুলালপুর বাজারের একটি ঘরে ডেকে নেন একজন। পরে তাকে গলা টিপে হত্যা করে চন্দ্রমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। জাহিদ নিখোঁজের পর তার বাবা হোমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি আরো বলেন, জাহিদ নিখোঁজের পর তার চাচার মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি ম্যাসেজ ও একটি কল আসে। এর ভিত্তিতেই পুলিশ বুধবার সকালে ওই স্কুলের তিনজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় জাহিদের বাবা আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মরদেহ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন