বরিশালের পাইকারি বাজারে প্রচুর ইলিশের সমাগম
সোমবার মধ্যরাত থেকেই বরিশালের জেলেরা স্থানীয় নদীতে জাল ফেলেছেন। এতে প্রচুর মাছও তাদের জালে ধরা পড়ছে। মেঘনা, কালাবদর শ্রীপুর নদীতে এখন জেলেদের মহোৎসব। কর্মব্যস্থ হয়ে পড়েছে নগরীর পোর্টরোডস্থ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পাইকারি ইলিশের মোকাম।
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনই মৌসুমের রেকর্ড পরিমাণ ইলিশের আমদানি হয়েছে মোকামে। এর পরিমাণ ৫ হাজার মণের বেশি বলে জানা গেছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম পহেলা অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিপনন ও বহন করা ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই সময় যে সব জেলে নদীতে জাল ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে অবরোধের পর জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় তারা এখন বেজায় খুশি।
জেলেরা জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর অনেক বেশি ইলিশ ডিম ছাড়াতে সাগর থেকে নদীতে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের পর জেলেরা মাছ শিকারে গেছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা মাছ ধরেননি। এ জন্য প্রথম দিনই বেশি মাছ ধরা পড়ে।
দাম কম হওয়ায় খুচরা ক্রেতারাও ভিড় করছেন মোকামে। ইলিশের মধ্যে ডিমওয়ালা এবং সদ্য ডিম ত্যাগ করা দু’টিই রয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ এ ইলিশের মধ্যে ৫ থেকে ৬ দিন আগের ধরা ইলিশও রয়েছে।
ইলিশের ওজন ও আকারভেদে দাম পড়ছে ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকা কেজি।
মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, তাদের অভিযান সফল হয়েছে। অভিযানকালে নদীতে প্রচুর ইলিশ দেখেছেন। এখন এগুলো ধরা পড়ছে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন