অচলাবস্থা শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে
নাব্যতা সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরি চলাচলে প্রায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রুটের ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট আকারের পাঁচটি ফেরি দিয়ে পারাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালিদ জানান, বুধবার ঢাকা, কুমিল্লা, কাকলী, কর্ণফুলী ও করবী নামের পাঁচটি ফেরি কোনো রকমে চলতে পারছে। এগুলো দিয়ে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের মতো হালকা যানবাহনসহ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ এরই মধ্যে ভারি যানবাহনকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সব ফেরি চলাচল করতে না পারায় শিমুলিয়া ঘাটে প্রাইভেটকারসহ ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। কাঠাঁলবাড়ি ঘাটেও আটকা পড়েছে আড়াইশ যান।
এদিকে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে পদ্মার ডুবুচরে আটকে পড়া ফেরি রায়পুরা ও ফরিদপুরকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খালিদ জানান। রোববার রাত থেকে এ দুই ফেরি অর্ধশত যানসহ লৌহজং চ্যানেলে আটকে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির কাঠাঁলবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার আব্দুল সালাম বলেন, ‘এই ঘাট দিয়ে ট্রাক ও বাস পার হতে পারছে না। তবে ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। বুধবার ঘাট এলাকায় অন্তত আড়াইশ ছোট গাড়ি পারাপারের জন্য লাইনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, গেলো বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মার পানি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় এ রুটে ফেরি চলাচলে মারত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটছে। এখন একরকম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
‘চ্যানেলটি পুনরায় চলাচলের উপযোগী করার জন্য ড্রেজিং কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নৌ রুটটি সচল করা হবে।’
তবে যাত্রী পারাপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে বলে জানান তিনি।
জেবি/এসএস
মন্তব্য করুন