নৌকায় বেড়াতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষণ
সাভারে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক মাদক ব্যবসায়ী।
সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের নিমেরটেক এলাকায় স্কুলছাত্রী নদীতে নৌকা করে বেড়াতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
এলাকাবাসী জানায়, সাভারের নিমেরটেক এলাকায় মায়ের সঙ্গে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে ওই কিশোরী। ঈদের আগের দিন শুক্রবার বিকেলে বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি নদীতে নৌকায় করে বেড়াতে যায় ওই কিশোরী।
এসময় নিমেরটেক এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শিপু মিয়া (২১) কৌশলে ওই কিশোরীর বান্ধবীকে মারধর করে একটি স্থানে আটকে রাখে। পরে ওই কিশোরীকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে হাত মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর এ ঘটনা কাউকে বললে তার মাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।
কিশোরীটি বাড়িতে এসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। শনিবার বিকেলে সে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।
শনিবার রাতে সাভার মডেল থানায় ধর্ষণকারী শিপু মিয়া ও তার সহযোগী জাবেদের নামে মামলা দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার।
পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুইজন পলাতক রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষণকারীর পক্ষ নিয়ে গ্রামের মাতব্বর ধর্ষণের বিচার করে মিমাংসা করবেন বলে জানান। তিনি কিশোরীর মাকে এ নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন। কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে উল্টো তাদেরকে এলাকা ছাড়ারও হুমকি দেন এলাকার মাতব্বররা।
স্থানীয়রা জানায় নিমেরটেক এলাকার মৃত আক্কেল আলীর ছেলে শিপু মিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন বিক্রি করে আসছিলো। মাদক ব্যবসার অভিযোগে একাধিকবার তাকে পুলিশ আটক করলেও পড়ে ছাড়া পেয়ে আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করে সে।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর অবিলম্বে ধর্ষণকারীকে আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি মোহসিনুল কাদির জানান, ধর্ষণকারীকে আটক করতে অভিযান চলছে।
জেবি/এমকে
মন্তব্য করুন