হবিগঞ্জে আলোচিত ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় বুধবার
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বুধবার।
মঙ্গলবার সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান এ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার কর জানান, আলোচিত এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
গেলো বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। নিখোঁজের ৫ দিনের মাথায় ১৭ জুলাই সুন্দ্রাটিকি গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি বালুর ছড়া থেকে মাটির নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল পড়তো সুন্দ্রাটিকি মাদরাসাতে।
এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন গেলো বছরের ২৯ এপ্রিল ওই নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে পুলিশ পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। আর এ মামলার বাকি তিন আসামি পলাতক।
গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। গেলো ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরো সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
এসএস
মন্তব্য করুন