ইবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী মোড় এলাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী তাসনিম ঊর্মিকে (২৩) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন স্বামী আশরাফুজ্জামান প্রিন্স।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঊর্মির স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এক ছেলের মা ঊর্মি উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে।এ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিল।
এ বিষয়ে ঊর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, গভীর রাতে ঊর্মির শ্বশুর হাসেম শাহ্ মুঠোফোনে জানান সে অসুস্থ। তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ঊর্মি জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়েছে। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পারি মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুলিশে খবর দিই। পরে তারা এসে মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে।
এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিচার দাবি করছে ঊর্মির সহপাঠীরা। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছে বিভাগটির সভাপতি ও শিক্ষকরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রিন্স ছিল মাদকাসক্ত। কারণে-অকারণে স্ত্রীকে মারধর করতেন। ঊর্মির স্বামী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা চার বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঊর্মির শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন