বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে
গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর ও ৪ পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
সকালে বেনাপোলের প্রধান সড়কের ওপর পরিবহন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এর ফলে পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকা পড়েছে বেনাপোল চেকপোস্টে। শুধু তাই নয়, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও।
পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, শুক্রবার বিকেলে আসছে ১০ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের (মেয়র সমর্থিত) নেতাকর্মীরা বন্দরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি যখন বেনাপোল পরিবহন স্ট্যান্ডে আসে তখন গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের বক্সে যাত্রীদের ল্যাগেজ ওঠাচ্ছিলেন মোহন (৩৫) নামে এক শ্রমিক। এ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে তার সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই ছাত্রলীগের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে মোহনকে বেধড়ক মারধর করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওই বাসের চালক জামাল, সুপারভাইজার আলাল ও হেলপার লিয়াকতকেও মারধর করে আহত করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে তারা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে গ্রিনলাইন কাউন্টারও ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পরপরই পরিবহন শ্রমিকরা সড়কে গাড়ি রেখে অবরোধ করে যশোর-বেনাপোল সড়ক। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় বিজিবি'র একটি প্রতিনিধি দল ভারত থেকে সীমান্ত সম্মেলন শেষ করে দেশে ফিরছিলেন। তাদের অনুরোধে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে শনিবার সকাল থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত বেনাপোল থেকে সব পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
শনিবার সকালে এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল গ্রীনলাইন পরিবহনের ম্যানেজার রবীন বাবু। বেনাপোলের সব পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো বৈঠক করে এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। মামলা হলে দরকারি ব্যবস্থা নেয়া হবে। শ্রমিক সংগঠন ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি দেখা হবে।
এইচএম/সি
মন্তব্য করুন