• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প রক্ষার্থে সিরাজগঞ্জে বিড়িশ্রমিক সমাবেশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : আরটিভি নিউজ

  ২৪ মে ২০২২, ১৬:০৩
দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প রক্ষার্থে সিরাজগঞ্জে বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ

বিড়িশিল্প বন্ধে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশিয় চক্রান্তকারীদের প্রতিহত করা এবং আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিড়িশ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ স্বাধীনতা চত্বর পৌর মুক্তমঞ্চে সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়িশ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করা, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিড়িশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান শ্রমিকরা। সমাবেশ শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়িশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজি মো. আবদুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদার, বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি), সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদীভাঙন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিগত কয়েক দশক ধরে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা বিড়িশিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। তারা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জালব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোলবিহীন নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ করা না হলে শ্রমিকদের নিয়ে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে বলে জানান বক্তারা।’

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্ত্রীসহ সাবেক এমপির পিএসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জে দুই টেক্সটাইল মিলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
সারের দোকানে ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি
মিশুকচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh