• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পুরোনো সেতুর লোহা বিক্রি করে বেকায়দায় চেয়ারম্যান

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৩ মে ২০২২, ২৩:০৮
পুরোনো সেতুর লোহা বিক্রি করে বেকায়দায় চেয়ারম্যান
ছবি: আরটিভি নিউজ

ঝালকাঠিতে পুরনো সেতুর লোহার মালামাল বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে ট্রাকে করে বরিশাল নেওয়ার পথে স্থানীয় জনতা দেড় টন লোহার মালামাল আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে মালামাল জব্দ করে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর লোহার মালামাল বিক্রির জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে মালামাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে নয়াখালের সেতু ও আলমগীর হাওলাদারের বাড়ির সামনে খালের দুটি আয়রণ সেতু পুরনো হওয়ায় ভেঙে যায়। ২০২১ সালে নতুন করে সেতু দুটি নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি। পুরনো সেতু দুটি ভেঙে লোহার দেড় টন মালামাল ইউপি চেয়ারম্যানের ছিলারিশ গ্রামের বাড়িতে হেফাজতে রাখা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান ওই মালামাল গোপনে নলছিটি শহরের ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. মুনছুরের কাছে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেন। মুনছুর একটি ট্রাক নিয়ে সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে লোহার মালামাল নিয়ে পোনাবালিয়া খেয়াঘাটে আসলে স্থানীয় জনতা ট্রাকটিকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ট্রাকের মালামাল জব্দ করে।

ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. মুনছুর বলেন, পোনাবালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে বলেছে, কিছু মালামাল বিক্রি করার আছে। আমরা আসলে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় তিনি লোহার মালামাল বিক্রি করেন। আমি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোজন ও পুলিশ এসে ট্রাক আটক করে। আমি তাদের কাছে সত্য কথা বলেছি।

পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নান্না খলিফা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান পুরনো সেতুর লোহার মালামাল তার বাড়িতে রাখে অবৈধভাবে। কোন রেজুলেশন ছাড়াই তিনি বাড়িতে এ মালামাল রাখেন। কাউকে না জানিয়ে গোপনে দেড় টন লোহার মালামাল বিক্রি করে দেন। এটা অন্যায় করেছেন চেয়ারম্যান, আমি তার বিচার চাই।

গ্রাম পুলিশ মিন্টু হাওলাদার বলেন, মালামালগুলো চেয়ারম্যানের বাড়িতে ছিল। কিভাবে এগুলো বাইরে আসল তা আমার জানা নেই। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খান বলেন, আমার কাছে কোনো সেতুর মালামাল নেই। আমি এগুলো বিক্রিও করিনি। একটি চক্র আমাকে ফাঁসানো চেষ্টা করছে।

ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সরকারি সেতুর লোহার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সত্যতা যাচাই করার জন্য এসে ট্রাকটি আটক করেছি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান এম ইউ কবীর চৌধুরী
সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ 
সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সার্টিফিকেট জালিয়াতি, যা বললেন কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যান
X
Fresh