• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাবেক এমপি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মানুষের ঢল

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৯ মে ২০২২, ২৩:৫০

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরীর (দাদা ভাই) ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বাদ আসর মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ বাড়িতে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন তার বড় ছেলে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, তার কনিষ্ঠ ছেলে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনির চৌধুরীসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মা চৌধুরী ফাতেমা বেগম (বঙ্গবন্ধুর বড় বোন)। দাদাভাই এর শিক্ষা জীবন শুরু হয় দত্তপাড়ার টিএন একাডেমি থেকে। তিনি মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করেন।

১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে কাজ করেন নিরলসভাবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। একইসঙ্গে মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুর এই ভাগনে। তিনি ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পদ্মা পাড়ের এক সময়ের পিছিয়ে পড়া জনপদ শিবচরের নারী শিক্ষার অগ্রদূত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শিবচরের গুয়াতলা গ্রামে একক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী জনপ্রিয় দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি আরামবাগ ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ছিলেন। তিনি খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে ৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি জেলা আ.লীগের
তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ডিএমপি
নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন যেসব মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা
তীব্র দাবদাহ : ট্রাফিক সদস্যদের স্বস্তি দিতে ডিএমপির অনন্য উদ্যোগ
X
Fresh