সুনামগঞ্জে নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। জেলার সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ ফসলি জমি। পানিতে পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষিরা। পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন সুরমা নদী তীরবর্তী সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতকসহ অন্তত ১০ ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ।
আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারতের আসাম, মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে মাঝারি ধরনের বন্যা সৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ঢলের পানিতে তাহিরপুর ও সদর উপজেলার ৫০ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সদর উপজেলার সুরমা ভৈষারপাড় গ্রামের মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। আমাদের গ্রামের রাস্তায় পানি, স্কুলে পানি, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কাংলার হাওর, রাঙ্গাউরি, ধরাবিলসহ কয়েকটি হাওরের স্কিমে চাষ করা জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
আমীর হোসেন নামে আরেক কৃষক বলেন, পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। তিন বিগা জমি চাষ করছিলাম। একটা ধানও কাটতে পারিনি। হঠাৎ পানি এসে আমার সব নিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌলী মো. সামছুদ্দোহা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ভারতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জের সুরমাসহ সকল নদনদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন