৯৯৯ কল করে ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র মধ্যেই পদ্মা সেতু দেখতে যান সাত শিশুসহ ৩৬ জন। এ সময় হঠাৎ তাদের ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি বিকল হয়ে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল করে রক্ষা পান তারা।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মাওয়াঘাট নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার থেকে মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে ওই ৩৬ জন ট্রলার যোগে পদ্মা সেতু দেখতে রওনা দেন। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি শেষে দুপুরে তারা পদ্মা সেতুর কাছে পৌঁছান এবং সেতুর বিভিন্ন দিকে ঘুরে দেখেন। এক পর্যায়ে তাদের ট্রলারটি বিকল হয়ে যায়।
‘ঘুর্ণিঝড় ‘আশনি’র প্রভাবে তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং নদী উত্তাল ছিল। শেষ ভরসা হিসেবে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ট্রলারের একজন যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও মাওয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাওয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রাতে তাদেরকে মাওয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। বুধবার (১১ মে) সকালে বিকল ট্রলারটি মেরামত করা হয়। পরে ওই ট্রলার দ্বারা তাদের শরীয়তপুরের নড়িয়ার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয় ।
মাওয়াঘাট নৌ পুলিশ ইনচার্জ আবু তাহের মিয়া বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পদ্মা নদীর জাজিরা এলাকা থেকে ট্রলারসহ যাত্রীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তারা নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছেছেন।
উদ্ধার হওয়া ট্রলার যাত্রী চুন্নু মিয়া, আল আনিন ও আব্দুল মোতালেব জানান, পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমরা বিপদে পরি। এ ছাড়া আমাদের ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। তখন উপায় না দেখে আমার ছোট ভাই রিমন ঢালী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে মাওয়াঘাট নৌ পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। তারা উদ্ধার না করলে আমাদের বাঁচা অসম্ভব হতো।
মন্তব্য করুন