বাগেরহাটে ৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার, ৯০ হাজার টাকা জরিমান
বাগেরহাটে অবৈধভাবে মজুত করা ৫ হাজার ২০০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ মে) বাগেরহাট শহরের নাগের বাজার ও তেল পট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে তেল মজুত রাখায় তিন ব্যবসায়ীকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উদ্ধার তেলের মধ্যে বোতলজাত ৫৬০ লিটার তেল গায়ের দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া ড্রামে ঢেলে রাখা অবশিষ্ট তেল দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। উদ্ধার তেলের মধ্যে পাঁচ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা, ২ লিটার ৩৩৫ টাকা এবং ৮ লিটার ১২৮০ টাকা করে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।
তেল ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে বর্তমানে বোতল জাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ১৫২ টাকা দরে আমি ৫ লিটার তেল কিনেছি। এতে প্রায় আমার ২৫০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এভাবে যদি মাঝে মাঝে সরকারি কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন, তাহলে আমাদের কিছুটা উপকার হয়।
রহিমা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে তেল কিনতে আসলে দোকানিরা যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত দামও দিতে হয় তাদের। আজ কম দামে তেল কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, অবৈধভাবে তেল মজুতের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫ ধারায় তেলপট্টি এলাকার মেসার্স শ্রী ভান্ডারকে ৭০ হাজার, মেসার্স সুভাষ চন্দ্র পালকে ১০ হাজার এবং পাল অ্যান্ড সন্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই তিন ব্যবসায়ী গুদাম থেকে ৫ হাজার ২শ’ লিটার তেল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা জানতেন যে ঈদের পরে তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। এর কারণে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ক্রয়কৃত তেল অবৈধভাবে মজুত করে রেখেছিল তারা। এ ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির জন্য বোতলজাত তেল ড্রামে ঢেলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করার জন্য মজুত রেখেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তেল মজুতের সত্যতা পাওয়া যায়। ভবিষ্যতেও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন