• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ি ছাড়া বিধবা, আতঙ্কে দিন কাটছে অন্যের বাড়িতে

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি

আরটিভি নিউজ

  ০৫ মে ২০২২, ২৩:৩৬

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রেখা বেগম নামে এক বিধবা ভয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে তিনি সেখানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। রেখা বেগম ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যকর্ণা গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় মাতাব্বর, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও কোন সুরাহা পাননি। এরপর নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

রেখা বেগমের অভিযোগ, তিন বছর আগে তার স্বামী মারা যান। স্বামীর রেখে যাওয়া বসতবাড়িসহ জমি বিভিন্নভাবে দখলের পায়তারা শুরু করে তার দেবর জহির উদ্দিন।
এতে তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয় জহির। বিষয় স্থানীয় মাতাব্বর, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে অবগত করলেও কোন সুরাহা পাননি তিনি। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল রেখা তার বাড়ির আঙিনা থেকে মাটি কেটে বাঁশঝাড়ে দিতে গেলে তাকে বাধা দেয় জহির। তার বাধা ওপেক্ষা করে মাটি ফেলতে গেলে জহির তাকে গালাগাল দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

পরে রেখা বেগম নিজের নিরাপত্তার চেয়ে ঘাটাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বিবাধী হিসেবে জহির উদ্দিন ও তার স্ত্রী এলিজা বেগমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগের পর এসআই পলাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রেখা বেগম জানান, আমার জমি থেকেই মাটি কাটতে ছিলাম। জহির আমাকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি এক সপ্তাহ ধরে বাড়ি যেতে পারছি না। সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, জহির উদ্দিনের ছেলে খালিদ হাসান লিটন ঘাটাইল এলজিইডিতে চাকরি করেন। সেই প্রভাব খাটিয়ে রেখা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর তাদের জমি দখলের চেষ্টা করছে তারা। জমি ছেড়ে না দেওয়ায় রেখা বেগমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পর পাশের বাড়ির খালেদার ঘরে রেখা আশ্রয় নিলে তাকেও জহির হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ‍উঠেছে।

খালেদা বেগম বলেন, আমার বাড়িতে রেখাকে আশ্রয় দেওয়ায় জহির উদ্দিন ও তার ছেলে লিটন আমাকে হুমকি দিয়েছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযোগের বিষয়ে জহির উদ্দিন বলেন, আমি রেখাকে কোন হুমকি দেইনি। তিনি আমার জায়গা থেকে মাটি কাটয় আমি তাকে বাধা দিয়েছি। জমি মেপে নেওয়ার পর তাকে মাটি কাটতে বলছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বাধীন আহমেদ সাইদ বলেন, ঈদের আগে তাদের ঝগড়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান হেস্টিংস বলেন, আমার কাছে জমি মাপার আবেদন করলে সার্ভেয়ার দিয়ে তাদের জমি মাপ করে দেওয়া হবে।

ঘাটাইল থানার এসআই পলাশ বলেন, অভিযোগের পর ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছি।স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান সামাজিকভাবে সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা সমাধান করতে না পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh