উদ্ধার করা কষ্টি পাথরের মূর্তি থানায় নিয়ে গেলেন নারী
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় নদী খননের সময় পাওয়া প্রায় সোয়া কেজি ওজনের কষ্টি পাথরে থানায় জমা দিয়েছেন এক নারী। বুধবার (৪ মে) রাতে কষ্টি পাথরটি থানায় জমা দেন উপজেলার খোদাদাদপুর গ্রামের ৪৯ বছর বয়েসী সাহজাদী পারভীন। গত ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে করতোয়া নদীতে খননের সময় তিনি মূর্তিটি পান।
জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে করতোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিল হোসেন করতোয়া নদীতে খননের সময় দুটি পায়ের কিছু অংশ সম্বলিত কষ্টি পাথরটি উদ্ধার করেন। পরে তিনি কষ্টি পাথরটি গোপনে রাখেন। এর কয়েকদিন পর তার জামাতা ঘোড়াঘাট পৌর শহরের খোদাদাপুর গ্রামের মজিবর রহমান মুন্সির ছেলে আবু তাহের কষ্টি পাথরটি নিজ হেফাজতে নেন। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করলে কষ্টি পাথরটি কার কাছে থাকবে এই নিয়ে আবু তাহেরের পরিবারে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে সাহজাদী পারভীনের কাছে কষ্টি পাথরটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সাহজাদী পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন থানা পুলিশ। পরে বুধবার রাতে সাহজাদী পারভীন কষ্টি পাথরটি থানায় হস্তান্তর করেন।
সাহজাদী পারভীন জানান, লোকমুখে শোনা যায় কষ্টিপাথর খুবই মূল্যবান ও শক্তিশালী সম্পদ। এই পাথর বাড়িতে থাকলে সংসারে আয় উন্নতি বৃদ্ধি পায় এবং জমির ফসল বৃদ্ধি পায়। এসব নানা কুসংস্কারে বিভ্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই শশুর বাড়ি থেকে পাথরটি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখেছিল।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, পাথরটির ওজন ১ কেজি ২৪৯ গ্রাম। পাথরটি আমরা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। পাথরটি আসলে কষ্টি পাথর নাকি কষ্টি পাথর সাদৃশ্য অন্য কোন পাথর তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে কষ্টি পাথর ভেবেই আজিল উদ্দিন এবং তার জামাতা এই পাথরটি নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। আমরা বিধি মোতাবেক এই পাথরটি পরিক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠাবো।
মন্তব্য করুন