গায়ে হলুদের দিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল হবু বরের
বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। আজ হবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান, কাল বিয়ে। বাকি ছিল কিছু কেনাকাটা।সেই কেনাকাটা করতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবক আইয়ুব মাহমুদ নয়নের (৩২)।
নয়ন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের পূর্ব ঢালীকান্দি গ্রামের হাবিবুর রহমান দেওয়ান ও খালেদা বেগম দম্পতির সেজো ছেলে। তিনি ঢাকায় প্রেসের ব্যবসা করতেন। তারা পাঁচ ভাই এক বোন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ৫ মে ছিল আইয়ুব মাহমুদ নয়নের গায়ে হলুদ। গোসাইরহাট উপজেলার গরিবেরচর পেদাকান্দি গ্রামের জসিম উদ্দিন পেদার মেয়ে সুমাইয়া আনজুম তিশার সঙ্গে বিয়ের দিন ছিল ৬ মে। আর ৮ মে বউ ভাত হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন তিনি। নয়ন ঈদের দিন (৩ মে) রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রুববাবুর হাট এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিচ ঢালাই সড়কে পরে যায়। তখন গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে নয়নের মৃত্যু হয়।
নিহত নয়নের ছোট ভাই সেকেন্দার দেওয়ান বলেন, আজ ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল, কাল ভাইয়ের বিয়ের কথা ছিল। ভাইর আর বিয়ে করা হলো না। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ভাই। আল্লাহ্ আমার ভাইকে জান্নাতবাসী করুক এই কথা বলেই সে কাঁদতে শুরু করে।
নয়নের মামা মাহমুদ হাসান সুমন বলেন, নয়নের অনেক শখ ছিল হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবে। অনেক চেষ্টা করেও হেলিকপ্টার ম্যানেজ করতে পারিনি। কখনও চিন্তা করতে পারিনি এভাবে অল্প বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। নয়নের জন্য অনেক কষ্ট হয়। বুধবার বাদ যোহর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নয়নকে দাফন করা হয়।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জেনেছি নয়নের মোটরসাইকেলের গতি ছিল একশত-এর উপরে। তাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন