• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টেন্ডার ছাড়াই মাদরাসার ভবন বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ

বরগুনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১২:১৯
টেন্ডার ছাড়াই মাদরাসার ভবন বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি ও টেন্ডার না দিয়েই উপজেলার দক্ষিণ ঝাড়াখালী ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসার একটি পুরাতন ভবন বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আব্দুল জব্বার ও সভাপতি সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে।

মাদরাসার ইবতেদায়ি শাখার ক্বারি নুরুল আমিন মার্চ মাসে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পুরাতন ভবন বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা সঙ্গীতা রাণীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার দক্ষিণ ঝাড়াখালী ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসায় সরকারিভাবে একটি নতুন ভবন বরাদ্দ পায়। সে বছর মার্চ মাসে ঠিকাদার কর্তৃক ভবন নির্মাণ করতে পূর্বের পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী ভবন ভাঙার পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের অনুমতি এবং টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মাদরাসার সুপার ও সভাপতি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই গোপনে পুরাতন ভবনটি ভেঙে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।

অভিযোগকারী শিক্ষক ক্বারি নুরুল আমিন বলেন, টেন্ডার ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষককে না জানিয়ে, তাদের পছন্দের কিছু শিক্ষক নিয়ে করোনাকালীন বন্ধে মাদরাসার সাবেক সুপার, বর্তমান সভাপতি ও মাদরাসার বর্তমান সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গোপনে মাদরাসার মালামাল স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে।

এ বিষয়ে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল জব্বারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। একবার বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে বিক্রি করেছি। তিনি আবার বলেন, ‘ঠিকাদার রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেছেন, তা আমি জানি না’।

মাদরাসার সাবেক সুপার বর্তমান সভাপতি ভবন ভেঙে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তালতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুল কবির মো. কামরুল হাসান বলেন, টেন্ডার ছাড়া ভবন ভাঙা মালামাল বিক্রি করা যাবে না। যারা গোপনে ভবন ভেঙে বিক্রি করেছেন। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওসছার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তথ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন ড. ইউনুস
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার 
X
Fresh