কমছে না চালের দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ (ভিডিও)
রংপুরে ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। গেলো এক সপ্তাহে মোটা ও চিকন চালের জাত ভেদে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। বিক্রেতারা বলছেন ধানের দাম বেশি ও চালের সরবরাহ কম থাকায় দিন দিন বাড়ছে চালের দাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরোর পর এখন আউশের ভরা মৌসুম। তার পরেও বাজারে মোটা চালের দাম ১ সপ্তাহ আগে যা ছিল ৩২ টাকা গেলো ২-৩ দিনে তা বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা। চিকন চালও ৪২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের এ ঊর্ধ্ব বাজার কমছে না বরং বেড়েই চলেছে। এর ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।
চালের দাম বাড়ায় কমছে বেচাকেনা। স্বরণকালের দাম বেড়েছে চালের। অনেক দরিদ্র পরিবারে কমছে চালের চাহিদা। কেউ কেউ অর্ধাহারে কাটাচ্ছে দিন।
কৃষকদের দাবি, এ অঞ্চলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে। সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণেই চালের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা ও লাভের আশার মজুদ করে রেখেছে চাল।
বিক্রেতারাও বলেন, সরবরাহ না বাড়ায় চালের দাম কমছে না। স্বল্প আয়ের পেশাজীবীরাও জানান দাম বাড়ায় তারাও পড়েছেন দুর্ভোগে।
মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ধান উৎপাদন হয়েছে অনেক জেলায়। এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন রাতারাতি এত ধান চাল গেলো কোথায়। দেশের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। দাম বাড়ার সুযোগে বেশি লাভের আশায় ধান চাল মজুদ করায় বাজারে আসছে না চাল।
কাতারের মতো আমাদের দেশেও বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল বাজারে আসলে দাম কমতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
চাল মজুদসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির বিরুদ্ধে, প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, রংপুরের সাধারণ মানুষ।
এসজে/এসএস
মন্তব্য করুন