সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে খুন করল পাকিস্তানি বন্ধুরা
সৌদি আরবের আল কাসিমে করোনা টিকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক বাংলাদেশি যুবককে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই পাকিস্তানির পাশাপাশি এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ওই যুবককের হত্যার ঘটনাটি জানতে পারে পরিবার। এর আগে গত রোববার রাতে সৌদি আরবের আল কাসিম শহরের বরাইদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক পাকিস্তানিরা বশিরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই।
নিহত ব্যক্তি কুমিল্লা চান্দিনার তুলাতলি গ্রামের মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বশির আহমেদ (২৪)।
নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো পরিবারজুড়ে চলছে শোকের মাতম। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে শোকে কাতর মা কমলা বিবি।
পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে সৌদিতে যান বশির। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। সেখানে যে কোম্পানিতে কাজ করতেন, সে কোম্পানির কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বশিরের। তারা ছিল পাকিস্তানি। বন্ধুত্বের সুবাদে কম্পানির একটি ক্যাম্পে একসঙ্গেই থাকতেন তারা। গত রোববার রাতে পাকিস্তানি বন্ধুরা ওই শহরের কোনো এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গলা কেটে খুন করে বশিরকে। রাতে ক্যাম্পে না ফেরায় নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করে বশিরের ভাই।
নিহত বশিরের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী মোজাম্মেল হক জানান, বশির যে ক্যাম্পে থাকত, সেখানে কয়েকজন পাকিস্তানিও থাকত। গত রোববার রাতে পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিক বশিরকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বশির গত কয়েক মাস বাড়িতে টাকা পাঠায়নি। টাকাগুলো তার কাছেই ছিল। ওই টাকার লোভে পাকিস্তানি যুবকরা কৌশলে ক্যাম্প থেকে ডেকে নিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে আবার ক্যাম্পে ফিরে আসে।
তিনি বলেন, রাতে যখন বশির ফিরে আসেনি, জিজ্ঞেস করলে তারা কেউ বলে বশির হসপিটালে গেছে। কেউ বলে হোটেলে খেতে গেছে। আবার কেউ বলে দূরে ঘুরতে গেছে। পরে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ পাকিস্তানি দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই যুবক হত্যার কথা স্বীকার করে।
চান্দিনা উপজলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুন নাহার বলেন, এ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহতের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করলে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য আমরা সহযাগিতা করব।
জিএম/এসকে
মন্তব্য করুন