• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিজের মামলায় বাবুলের জামিন নামঞ্জুর

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা, আরটিভি নিউজ

  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৯
নিজের মামলায় বাবুলের জামিন নামঞ্জুর
বাবুল আক্তার

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তারের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

এর আগে মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ সদস্য মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় জামাতা (মেয়ের জামাই) বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে গত ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দাখিলের পর ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। ১১ মে সারাদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় ঢাকায় অবস্থান করা মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে নিজের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার কয়েক দিন পরেই মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলা পরিচালনায় মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরীকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মদ শাকিল, মো. সাহাব উদ্দিন ও সাফায়াত শাকির। জিএম/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন হন মিতু
জামিন বাতিল, রাখিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আদালতের
মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
স্থগিতই থাকবে শিশু নূরীর মায়ের জামিন
X
Fresh