নিখোঁজের ৫ দিন পর গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর নদী থেকে পপি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের ফেরিঘাট কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত পপি খাতুন একই উপজেলার নগরবোয়ালিয়া গ্রামের তুহিন আলী স্ত্রী। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী তুহিন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত পপি খাতুনের বাবা নেকবার ভোলা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ১২ বছর আগে কুষ্টিয়া জেলার হালসা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে তুহিন আলীর সাথে আমার মেয়ে বিয়ে হয়। মূলত ছোটবেলা থেকে তুহিন তার নানা মুনসার আলী বাড়ি নগরবোয়ালিয়া গ্রামে বসবাস করছে। সেখান থেকেই বিয়ে হয়। তাদের ১২ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান আছে। এর কয়েক বছর পর সে মাদকাসক্ত হয়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের সংসারে কলহ হতো। সম্প্রীতি বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চায় তুহিন। আমরা গরিব মানুষ। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে সে মারধর শুরু করে। মানসিক অত্যাচার করে।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় পপি। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার স্বামী তুহিনকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বিকেলে ওই গ্রামের ফেরিঘাট কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই নারী পপি খাতুন বলে শনাক্ত করে তার মেয়ে মিম খাতুন।
তিনি আরও জানান, আপাতত নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী তুহিনকে আটক করা হয়েছে।
এমআই
মন্তব্য করুন