• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ধর্ষণের অভিযোগে এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১৭
ধর্ষণের অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফাইল ছবি

নারী ধর্ষণের অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত পঞ্চগড়ের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই পরোয়ানা জারি করেন। জলিল পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিন নামার কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আদালতে মামলার বাদী জানান, তিনি একজন বিধবা জমিজমা বিষয়ে গত ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ভুয়া কাবিন নামা দিয়ে জলিল তাকে বিয়ে করেন। পরে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন। উল্টো জলিল আমাকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদি হাসান মিলন জানান, ভিকটিমের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের পর এসআই জলিল সুকৌশলে কুড়িগ্রামে বদলি হয়। পরে আর আসমা প্রধানের খোঁজ রাখেন না। এরপরই আসমা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিকে নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালত পঞ্চগড়ের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজু জানান, ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা দাখিলের পর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এরপর প্রাপ্ত অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এসএস/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh