অপসারণের নির্দেশের পরও চলছে ইটভাটা নির্মাণ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার বোয়ালি গ্রামে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে নির্মিত ইটভাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি সাত দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভাটা অপসারণের নির্দেশ দিলেও ১৩ দিনেও তা অপসারণ করা হয়নি। বরং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইটভাটা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চারদিকে সবুজের সমারোহ। আমন ধান কাটার পর বোরো রোপা লাগানোর জন্য জমি তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামে বর্তমানে ইট পোড়াতে চুল্লি নির্মাণকাজ চলছে। ইট তৈরির জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের ব্যবসায়ী আয়ান মিয়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই গ্রামের তিন ফসলি প্রায় ছয় একর জমি ইজারা নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও মো. আবদুর রাফিউল আলমের নির্দেশে গত ১০ জানুয়ারি ভাটা মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম গত ১৬ জানুয়ারির মধ্যে ভাটাটি অপসারণের নির্দেশ দেন। তা না হলে বুলডোজার দিয়ে ভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশের ১৩ দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোববার (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত নির্মাণাধীন ভাটা অপসারণ করা হয়নি। উল্টো ইটভাটা নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর ইউএনও মো. আবদুর রাফিউল আলম বলেন, জরিমানা আদায়ের পর নির্মাণাধীন ভাটার চুলা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও কাজ চললে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএম/টিআই
মন্তব্য করুন