জীবনের প্রথম ভোটটিও দিতে পারলেন না শিক্ষার্থী রানু
জীবনে প্রথম ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন কলেজ শিক্ষার্থী রানু খাতুন। ভোট কক্ষে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ নেয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপরই বুথের ভেতরে থাকা একজন যুবক তার ভোটটি দিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ ওই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানালেও কেউ কোনও কর্ণপাত করেনি। এমনই অভিযোগ করেছেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের উপনির্বাচনে ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থী রানু খাতুন। তিনি মির্জাপুর পৌরসভার পুষ্টকামরী গ্রামের বাসিন্দা এবং ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
রোববার (১৬ জানুয়ারি ) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পুষ্টকামরী এলাকার আলহাজ মো. শফি উদ্দিন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
ভোট দিতে না পারা শিক্ষার্থী রানু খাতুন বলেন, ভোট প্রদান করতে কেন্দ্রে যাই। এসময় মহিলা বুথের ৭ নং কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিং অফিসার প্রথমে ইভিএমের মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ নেয়। পরে আমি ভোট দিতে গোপন কক্ষে (বুথ) যাওয়ার আগেই সেখানে থাকা এক যুবক আমার ভোট দিয়ে দেয়। পরে আমাকে জানিয়ে দেয়া হয় ভোট দেয়া শেষ আপনার। বিষয়টি সেখানে দায়িত্বরতদের জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
রানু আরা বলেন, জীবনে প্রথম সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোটটিও পছন্দমত প্রার্থীকে দিতে পারলাম না। ভোট না দিতে পারার আক্ষেপ সারাজীবন থাকবে। আর কোনদিন হয়ত কষ্ট করে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়া হবে না।
আলহাজ মো. শফি উদ্দিন মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। কোন ভোটার এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি। তবে মহল্লার ভেতর ভোট কেন্দ্র হওয়ায় ভোটাররা তাদের সুবিধা সময়ে ভোট দিতে আসছেন। ফলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।
এসএস
মন্তব্য করুন