• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্বাচন এলেই প্রার্থী হন রুপা 

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৩২
নির্বাচন এলেই প্রার্থী হন রুপা

রুপা রায় চৌধুরী। বয়স চল্লিশের ওপরে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের চন্দন রায়ের স্ত্রী। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। তিন সন্তানের জননী তিনি। স্বামী চন্দন রায় একজন কৃষক।

রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কোনো নেতা না হলেও ইউপি নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা ও সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হন তিনি। তবে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন প্রতিবারই জামানত হারিয়েছেন। তারপরও বারবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে রুপার।

এবার তিনি টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী হয়ে ডাব মার্কা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিছু জায়গায় তার পোস্টার দেখা গেলেও পুরো নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়নি তাকে। আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও রুপা রায় এর আগেও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এরপর তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু দুই নির্বাচনেই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ২০১৬ সালে ভাতগ্রাম ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তখন যাচাই-বাছাইয়ে বয়স কম থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

রুপা রায় চৌধুরীর স্বামী চন্দন রায় বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার স্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে তিন শতাধিক ভোট পেয়েছিল রুপা। এবার আরও বেশি ভোট পাবেন বলে আশা চন্দন রায়ের।

নির্বাচনের বিষয়ে রুপা রায় চৌধুরী বলেন, জনগণের সেবা করতে চাই। ঢাকার মতো মির্জাপুরেও উন্নয়ন করতে চাই। আমার বিশ্বাস, জনগণ একবার আমাকে সেবা করার সুযোগ দেবে।

এসএস/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
X
Fresh