• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

হাতিয়ায় টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

হাতিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৪
হাতিয়ায় টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। দুই সারির বিশাল লাইন। সবাই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েছে। কে আগে টিকা নেবে সেই প্রতিযোগিতা লাইনের বিভিন্ন অংশে। কারও মুখে নেই মাস্ক। নেই সামাজিক দূরত্বের উপস্থিতিও। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রের চিত্র এটি।

হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় উচ্চবিদ্যালয় রয়েছে ৩৪টি, মাদরাসা ১৭টি ও কলেজ রয়েছে ৪টি। এর মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে টিকার কার্যক্রম শেষ করা জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে টিকা।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য উপজেলা সদরের মেঘনা ডায়াগনস্টিক ল্যাবে অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সামনে প্রসস্ত জায়গা থাকায় বেসরকারি এই ল্যাবটিকে টিকাকেন্দ্র বানানো হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮টি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ১৩ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের মেঘনা ডায়াগনস্টিক ল্যাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। দূরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া করা গাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীদের টিকাকেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে সবাই। ছাত্র-ছাত্রীর পৃথক দুইটি লাইনে দাঁড় করানো হয়েছে। সবাই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েছে। কারও মুখে নেই মাস্ক। লাইন দুটি টিকাকেন্দ্র থেকে শুরু করে আইনজীবী সমিতির ভবন হয়ে প্রধান সড়কে চলে এসেছে। শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভিড়ে প্রধান সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মাইন উদ্দিন জানান, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাতিয়া উপজেলায় শুরু হয় টিকার কার্যক্রম। ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৮ জনকে প্রথম ডোজ ও ৫৭ হাজার ৪৬৬ জনকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা। এজন্য বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন ভিত্তিক আয়োজন করা হয় গণটিকা কার্যক্রমের। তবে এখন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও টিকার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

হাতিয়ায় করোনার ফোকাল পার্সন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহতাব উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির প্রথম থেকে এই পর্যন্ত হাতিয়াতে ১ হাজার ৯৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩০১ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে করোনাই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উপসর্গ থাকা লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবে এসে নমুনা পরীক্ষা করছেন। তবে গত দেড় মাসে হাতিয়াতে কারও শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

এসএস/

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
আরও ৪৬ জনের শারীরে করোনা
X
Fresh