গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ মারা গেছেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে অরেঞ্জের মৃত্যু হয়। এর আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে টানা আট দিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আবদুল ওয়াদুদ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা অরেঞ্জের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত অরেঞ্জ মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রেজাউল ইসলামের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, অরেঞ্জের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া শহরের মালগ্রামের ডাবতলা এলাকায় অরেঞ্জকে গুলি করে প্রতিপক্ষ। এ সময় তার বন্ধু আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিনহাজ শেখ আপেলও গুলিবিদ্ধ হন। তবে অরেঞ্জের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে অরেঞ্জ ও আপেলকে গুলি করা হয়। এর আগে রজমানের ঈদের পর একবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলার শিকার গ্রুপটিই প্রতিশোধ নিতে এবার গুলি চালায়।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অরেঞ্জ ও আপেল মালগ্রাম ডাবতলার মোড়ে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় মালগ্রাম বেলতলা মোড় থেকে ৪-৫টি মোটর সাইকেলে একদল যুবক ডাবতলা মোড়ের দিকে যায়। তাদের মধ্য থেকে দুজন অরেঞ্জ ও আপেলকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি গুলি ছোঁড়ে। দুটি গুলি অরেঞ্জের বাম চোখের নিচে লাগে। আর তার সঙ্গে থাকা আপেলের পেটে গুলি লাগে।
পরে অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালী আক্তার বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক জাকির আল আহসান জানান, এ ঘটনায় এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার নাম টিপু। তিনি মালগ্রামের কসাইপাড়া এলাকার আইনুলের ছেলে।
এমআই/পি
মন্তব্য করুন