• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

'আর্থিক প্রতারণা ও পরকীয়ার জেরে ট্রিপল মার্ডার'

খুলনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২১
'আর্থিক প্রতারণা-পরকীয়ার জেরে ট্রিপল মার্ডার'
ফাইল ছবি

প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়া সম্পর্কের জেরে কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামে ট্রিপল মাডারের ঘটনা ঘটে। এ মামলায় এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৬ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুুপার (এসপি) মো. মাহবুব হাসান এ কথা বলেন। খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পুলিস সুপার বলেন, ট্রিপল মাডারের অন্যতম আসামি আব্দুর রশিদ গাজী। তিনি খুব চতুর। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। টিমওয়ার্ক ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে ৮ জানুয়ারি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা থেকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। সে মোতাবেক এ মামলায় আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তারা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম বাবলু (৪৫), আল-আমিন হোসেন (৩৪), আসলাম সর্দার (৪৭), আব্দুল ওহাব হক (৫৭), তাসলিমা (৪৭), শামিমুল ইসলাম অঞ্জন (৫০), মোস্তফা কামাল (৩২)।

স্বীকারোক্তিতে রশিদ জানান, মামলার অপর আসামি জিয়া ও রাজিয়া সুলতানার অবৈধ সম্পর্কে বাধা দানকারী হাবিবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ওই দিন রাত ১২টার দিকে জিয়া ও সামসুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাবিব, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতানা টুনির হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে স্ত্রী ও কন্যাকে ধর্ষণ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা পর পানিতে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ৬ আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। একেক সময় একেক তথ্য উপাত্ত দিয়েছে রশিদ গাজী।

তিনি আরও জানান, ভিকটিম হাবিবুরের সঙ্গে অন্যান্য আসামিদের আর্থিক লেনদেন ছিল। নিহত আর্থিক প্রতারণারও স্বীকার হয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের পানিতে ফেলে দেওয়ার কারণে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। মামলার অন্যান্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে তাদের হত্যা করা হয়। ২৬ অক্টোবর স্থানীয় আব্দুল মাজেদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতান টুনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের মা কোহিনুর বেগম অজ্ঞাতনামা আসাসিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

এমআই /এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে মামা-মামি ও মামাতো বোনকে খুন করেন রাজীব
X
Fresh